ফরাসি সেনারা এবার বুরকিনা ফাসোর বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে দেশটি ছেড়ে যাচ্ছেন। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। ফ্রান্স রেডিওর বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, বুরকিনা ফাসোর ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে, সোমবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ফরাসি সেনা সরিয়ে নিতে প্যারিসকে চিঠি দেয়। মঙ্গলবার সেই চিঠি পায় ফ্রান্স। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ‘আমরা চুক্তির শর্তের প্রতি সম্মান জানাব এবং বুরকিনা ফাসোর অনুরোধ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’
গত সোমবার বুরকিনা ফাসো জানিয়েছিল, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশটিতে আর বিদেশি সেনা রাখা হবে না। জনগণের লক্ষ্য পূরণে দেশ রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে পূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তির অবসান ঘটাতে চায় তাদের সরকার। তবে তা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে একটি চুক্তি করে বুরকিনা ফাসো। ওই চুক্তি অনুযায়ী আল কায়েদা ও আইএসের মতো সন্ত্রাসীদের দমনে স্থানীয় বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে দেশটিতে অবস্থান করবেন ফরাসি সেনারা। তবে গত বছর দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির জনগণ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছে। শুক্রবার রাজধানী ওয়াগাডুগুতে শত শত মানুষ ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ করে। যেখানে ফরাসি সেনা সরানোর দাবি করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদেশি সেনারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।
সূত্র : বিবিসি ও আল-জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
