গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে এক বছর হতে চলেছে এই যুদ্ধের। রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে আসা ওয়াগনার গ্রুপের ৩০ হাজার যোদ্ধা ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৯ হাজার সেনা সরাসরি যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এই দাবি করেন।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যতজন ওয়াগনার সেনা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৯০ ভাগই জেল খাটা আসামি ছিলেন। যাদের ৬ মাসের চুক্তিতে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে এসেছিলেন ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোরিজিন।
জন কিরবি আরও দাবি করেন, শুধুমাত্র ডিসেম্বর থেকেই এ পর্যন্ত ১৫ হাজার সেনার মৃত্যু হয়েছে। মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহরে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ গেছে তাদের।
কিরবি আরও জানিয়েছেন, বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুত শহরে গত কয়েকদিনে সাফল্য পেয়েছে। তবে এসব সাফল্য কয়েক মাসের তীব্র লড়াই ও ‘চরম মূল্যের মাধ্যমে এসেছে।’
তিনি বলেন, খুব সম্ভবত তারা (ওয়াগনার গ্রুপ) বাখমুত দখল করায় সফলতা পাবে। কিন্তু এটির সত্যিকারের কোনও মূল্য নেই। কারণ বাখমুত কৌশলগতভাবে এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
মার্কিন এ কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, জেল খাটা আসামিদের কোনও ধরনের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধাস্ত্র ছাড়াই যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপ। এমনকি এখনও জেলের আসামিদের নিয়ে আসছে তারা। যদিও ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা কয়েকদিন আগে দাবি করেছেন, তারা আসামিদের আর নিয়োগ দিচ্ছেন না।
অপরদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গত বছর হামলা করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ লাখ রুশ সেনা ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম