চীনের সুপরিচিত বিলিয়নিয়ার ও ব্যাংকার বাও ফ্যান নিখোঁজ হয়েছেন বলে তার কোম্পানি জানিয়েছে।
চায়না রেনেসাঁ হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী বাও ফ্যানের সাথে গত ক’দিন ধরে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে তার কোম্পানি।
চীনের প্রযুক্তি-খাতের বিনিয়োগে বাও ফ্যান একজন শীর্ষস্থানীয় ব্রোকার যার ক্লায়েন্টদের মধ্যে রয়েছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি ডিডি এবং মেইটুয়ান।
চায়না রেনেসাঁ হোল্ডিংসের এই ঘোষণার পর অর্থ ও প্রযুক্তি-খাতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেইজিং সরকারের সম্ভাব্য ক্র্যাকডাউনের উদ্বেগকে নতুন করে বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে, বাও ফ্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এমন খবর প্রকাশের পর শুক্রবার তার শেয়ারের দর পড়ে যায়।
বাও ফ্যান কতদিন ধরে নিখোঁজ সে ব্যাপারে কোম্পানিটি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে চীনা বার্তা সংস্থা কাইক্সিন সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে যে কর্মচারীরা গত দু’দিন ধরে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
ওই বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আইসিবিসি ব্যাংকে তার আগের কাজের জন্য ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান কং লিনকে কর্তৃপক্ষ গত সেপ্টেম্বর মাসে তুলে নিয়ে গেছে।
চায়না রেনেসাঁ হোল্ডিংস কং লিন-এর অবস্থা সম্পর্কেও এখনও কোন মন্তব্য করেনি। কোম্পানির ওয়েবসাইটে কিংবা কোম্পানির মুনাফা প্রতিবেদনেও একজন নির্বাহী হিসেবে তার নামটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বাও ফ্যান এর এই গুম হওয়ার ঘটনা চীনা ব্যবসায়িক নির্বাহীদের কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়াই কিছু সময়ের জন্য হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ার ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
এর আগে চীনের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমালোচনা করায় ২০২০ সালের শেষ দিকে তিন মাস নিখোঁজ ছিলেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। এর আগে চীনা-কানাডিয়ান ব্যবসায়ী জিয়াও জিয়ানহুয়াকে ২০১৭ সালে তুলে নেওয়া হয়েছিল। তিনি চীনের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ছিলেন এবং দুর্নীতির দায়ে গত বছর তাকে জেলে পাঠানো হয়। এছাড়া ফোসান গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গুও গুয়াংচ্যাং, যিনি চীনের ওয়ারেন বাফেট বলেও পরিচিত ২০১৫ সালে তিনিও নিখোঁজ ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য বলছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিরোধের জেরে গত কয়েক বছরে অন্তত ছয়জন বিলিয়নিয়ার নিখোঁজ ছিলেন।
সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত