ইরানের ওপর ৫০ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউক্রেন। মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহে তেহরানের ভূমিকার জন্য কিয়েভ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউক্রেনের সংসদ মঙ্গলবার এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছে, প্যাকেজটিতে ইরানের সঙ্গে সামরিক ও দ্বৈত–ব্যবহারযোগ্য (সামরিক-বেসামরিক) পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে ইরানি পণ্য পরিবহন এবং ইরানের বিমান ইউক্রেনের আকাশসীমা দিয়ে উড্ডয়নও নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত রবিবার ইউক্রেন বলেছিল, আগ্রাসন শুরুর পর রাজধানী কিয়েভে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছে মস্কো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইরানিদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা কেন রাশিয়ার সন্ত্রাসের সহযোগী হতে চান, তাদের স্বার্থ কোথায়?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইল পদোলিয়াক সোমবার বলেন, তার দেশের রাজধানী কিয়েভে ডজন ডজন শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ইরান সরকারকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন।
গতকাল ইরানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা মিখাইল পদোলিয়াক। তিনি বলেন, এই বছর রাশিয়ার প্রধান বন্ধু হয়েছে ইরান। কোনো বাছ-বিচার না করেই রাশিয়াকে তারা অস্ত্র দিচ্ছে। সেই অস্ত্র রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনায় হামলায় ব্যবহার করছে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই উপদেষ্টা বলেন,‘ইরানের ওপর ৫০ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করবেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল