সম্প্রতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ (পার্লামেন্ট)। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ফলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ লক্ষ্যে দেশটির নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করার শেষ দিন আজ।
কিন্তু এখনও এই ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ।পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের গত প্রায় দেড় বছরের শাসনামলের গোটা সময় ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) একাংশের চেয়ারম্যান রাজা রিয়াজ।
সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন জানিয়েছে, সেই ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ বিরোধী নেতা এখন সম্পূর্ণ ‘বদলে যাওয়া’ মানুষে পরিণত হয়েছেন এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীর নাম (তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে) সুপারিশ করার জন্য ‘জেদ’ করছেন।
ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে রিপোর্ট লেখা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তারা।
সূত্র জানিয়েছে, পিএমএলএন’র শীর্ষ প্রধান নওয়াজ শরিফ তার ছোটো ভাই এবং দলের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফকে এই মর্মে নির্দেশনা দিয়েছেন যে— সদ্য বিদায় নেওয়া সরকারের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার অথবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় তার দল।
অন্যদিকে রাজা রিয়াজ চাইছেন, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সাঞ্জরানিকে করা হোক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতি-শুক্রবার দুই দফা বৈঠক করেও এই ইস্যুতে শেহবাজ ও রিয়াজ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি বলে জানা গেছে। সূত্র: ডন
বিডি প্রতিদিন/কালাম