আগামী ৯ সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন (৬৪)। ওই নির্বাচনে তাকে নিষিদ্ধ করেছনে সুপ্রিমকোর্ট। ফৌজদারি অপরাধে আদালত তাকে অভিযুক্ত করে ১১ বছরের জেল দিয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে তাকে দুর্নীতি ও অর্থপাচার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দেয়া হয়। তিনি বিরোধী দল প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপের (পিপিএম) নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে ওই মামলায় সাজা দেয়া সত্ত্বেও নির্বাচনে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তার দল। এই নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়াই করবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
ওদিকে, আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে জেল দেয়ার আগে তিনি এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ১ আগস্ট তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা প্রত্যাখ্যান করে। তারা জানিয়ে দেয়, সাজার কারণে তিনি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আর বৈধ নন। এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানায় পিপিএম। এর জবাবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় সংবিধানের দুটি ধারার অধীনে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি সরকারি পদের যোগ্য নন।
অন্যদিকে ৭ আগস্ট ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ফলে সবাই তাকিয়ে ছিল পিপিএম অন্য কোনো প্রার্থী দেয় কিনা সেদিকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আবদুল্লাহ ইয়ামিন নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান নিজ দল পিপিএমের প্রতি। তার এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। নিজের দল পিপিএমের সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট এবং তার সঙ্গে জোটের শরিক পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করে। এজন্য তারা নিজেদের মধ্যে ভোটের আয়োজন করে।
এ বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সোলিহ’র দল মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) তে ভাঙন দেখা দেয়। পার্লামেন্টের স্পিকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের প্রতি অনুগতরা আলাদা হয়ে যান। তারা নতুন একটি দল গঠন করেন। তার নাম দেয়া হয় ‘দ্য ডেমোক্রেটস’। অবশেষে এ বছর জুনে এমডিপি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন নাশিদ। এতে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি তার সাবেক সহকর্মী সোলিহ’র বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। কিন্তু না। তিনি নন, তার দলের তরুণ একজন পার্লামেন্টারিয়ান ইলিয়াস লাবিব ৬ আগস্ট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত