চরম অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার ভোক্তা মূল্যস্ফীতির হার অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। এর ফলে দেশটির খাদ্যপণ্যের দাম বহুলাংশে কমেছে বলে সোমবার জানিয়েছে দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ।
ন্যাশনাল কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সে বিস্তৃত পরিসরে খুচর মূল্যস্ফীতি তুলে ধরা হয় এবং প্রতি মাসে ২১ দিনের ব্যবধানে এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
জুন মাসে শ্রীলঙ্কার ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। জুলাইয়ে তা কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
শ্রীলঙ্কার আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জুনে খাদ্য মুল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছিল। তবে জুলাইয়ে তা ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। অ-খাদ্য পণ্যগুলোর দাম জুলাই মাসে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের মাসে এটি বেড়েছিল ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
জুন থেকে শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি আগের মাসগুলোর তুলনায় দ্রুত কমতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি দেশটির মুদ্রা রুপিও শক্তিশালী হয়েছে। এর ফলে দেশটির জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং আমদানিকৃত খাদ্যের ব্যয় কমেছে।
২০২২ সালের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এর ফলে দেশটিকে সাত দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হয়। গত মার্চে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ২৯০ কোটি ডলারের বেল আউট প্যাকেজ পায় শ্রীলঙ্কা। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কালাম