জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন এমারসন মানানগাগওয়া। তবে এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছেন বিরোধীরা।
২০১৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসক রবার্ট মুগাবেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর জিম্বাবুয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মানানগাগওয়া। দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই এ নির্বাচনে মানানগাগওয়া পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
জিম্বাবুয়ে স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতায় ছিলেন শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু শাসক গোষ্ঠী। ১৯৮০ সালে তাদের হটিয়ে ক্ষমতায় আসে জানু-পিএফ পার্টি। এ নির্বাচনেও জানু-পিএফ পার্টির প্রার্থী আবারও নির্বাচিত হলেন।
শনিবার জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশন (জেডইসি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে। এতে বিরোধী দলের প্রধান নেলসন চামিসা ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর ৫২.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে এমারসন মানানগাগওয়া।
নির্বাচনে কারচুপি এবং বিরোধী দলীয় ভোটারদের ওপর দমন পীড়নের অভিযোগ আনায় ফলা প্রকাশে বিলম্ব হয়। শনিবার ফলাফল প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাস করে।
এদিকে এ নির্বাচনের ফল মেনে নেয়নি জিম্বাবুয়ের বিরোধী দল। তারা এ ফলাফলকে ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেছে। বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, আমরা এ ফলাফল মানি না। শিগগির আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
এ নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের হয়নি বলে মত দিয়েছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে তারা শুক্রবার এ তথ্য জানান।
সূত্র : আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ