কোরীয় উপত্যকা ‘একটি অত্যাসন্ন পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
জাতিসংঘে দেশটির নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কিম সং মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের শেষদিনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ২০২৩ সাল এরইমধ্যে একটি কঠিন বিপদের বছর হিসেব চিহ্নিত হয়েছে। আর কোরীয় উপদ্বীপ চরম উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে যেখানে যেকোনো মুহূর্তে পরমাণু যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। এজন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদকে তিনি বলেন, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার হুমকির কারণে উত্তর কোরিয়া আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তার দেশ গত ১৮ মাসে কয়েক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। কিম সং বলেন, যেকোনো বহিঃশক্তির হুমকির মোকাবিলায় জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে পিয়ংইয়ং বদ্ধপরিকর।
ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর বিগত বছরগুলোতে ওই নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে শক্তিশালী করা হয়।
অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ও চীন বলছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না বরং আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে হবে। সূত্র: এপি, আল আরাবিয়া
বিডি প্রতিদিন/আজাদ