প্রথমবারের মতো ড্রোন থেকে মিসাইল ছুড়ে অন্য আরেকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান। এর মধ্য দিয়ে দেশটির সামরিক উন্নয়নের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইরানে ড্রোন থেকে হামলা চালিয়ে অন্য একটি ড্রোন ধ্বংস করা হলো।
গত দু’দিন ধরে অনুষ্ঠিত মহড়ায় আকাশপথে যুদ্ধের নানা কৌশল প্রদর্শন করা হয় এবং সেখানেই ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আরেকটি ড্রোনকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
ইরানের সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ফোর্সের কমান্ডার বলেছেন, নিজের দেশে তৈরি ইরানের একটি ড্রোন সফলভাবে প্রথমবারের মতো আকাশ যুদ্ধের মিশন পরিচালনা করেছে। এতে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অন্য একটি ড্রোনকে হামলা ও ধ্বংস করা হয়।
বুধবার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলিরেজা সাবাহি-ফার্ড বলেছেন, “আকাশযুদ্ধের মহড়ার সময় একটি ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আরেকটি ড্রোনকে লক্ষ্যবস্তু করে। এটি দেশে প্রথমবারের মতো করা হয়েছে এবং আমরা লক্ষ্যবস্তুকৃত ড্রোনটিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি।”
তার দাবি, বিশ্বে আর মাত্র দুটি দেশ এই অত্যাধুনিক ও অত্যন্ত জটিল অভিযান পরিচালনা করার সক্ষমতা রাখে। ইরানের সীমান্তবর্তী সাতটি প্রদেশে বিশাল এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চারটি ডিভিশন অংশ নেয়।
এদিকে দুইদিন ধরে চলা এই মহড়ায় নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি কামিকাজে ও যুদ্ধ ড্রোনগুলো সফলভাবে সকল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়ার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলীরেজা শেইখ।
উল্লেখ্য, ইরান তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এবং সামরিক হামলার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে তৈরি ইউএভি-এর (ড্রোন) বহর আরো প্রসারিত করেছে। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ