গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা “মানবিক করিডর এবং যুদ্ধে বিরতি” দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর এক ঘোষণাপত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশের নেতারা “গাজায় ক্রমে খারাপ হতে থাকা মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।”
তারা “গাজায় বিরতিহীন, দ্রুত, নিরাপদ এবং বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকার চায় এবং অভাবীদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যেমন মানবিক করিডর এবং মানবিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাময়িক বিরতি চান।”
এই ঘোষণাপত্রে ইউরোপীয় কাউন্সিল, “ইসরায়েল জুড়ে হামাসের নৃশংস এবং নির্বিচার সন্ত্রাসী হামলার শক্ত ভাষায় আবারও নিন্দা জানায়।”
এতে আরো বলা হয়, “সাধারণ মানুষকে হামাসের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করাটা শোচনীয় ও নৃশংস বিষয়।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ত্রাণ খুবই স্বল্প পরিমাণে পৌঁছাচ্ছে। সর্বশেষ গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আরো ১২টি ট্রাক ঢুকেছে। কিন্তু সেখানে এখনো কোন জ্বালানি পৌঁছায়নি।
হামাস বলেছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা নিক্ষেপের কারণে হামাসের হাতে আটক অন্তত ৫০ জন জিম্মি নিহত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামলার জের ধরে তাদের জিম্মি করা হয়েছিল।
হামাসের পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত গাজায় সাত হাজার মানুষ মারা গেছে।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর “বোমা হামলা” রুখতে এগিয়ে আসতে সব বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, ইসরায়েল “শুধুমাত্র হামাসের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় ইসরায়েলি হামলা রুখতে না পারার জন্য পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করে বলেছেন, এর কারণ হচ্ছে, যাদের রক্ত ঝরছে তারা মুসলিম।
সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত