সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সমর্থিত একটি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। বুধবার এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। তাদের দাবি, ওই এলাকায় ইরান গোষ্ঠীর একটি ঘাঁটি ছিল, যেখান থেকে সিরিয়া এবং ইরাকে মিলিশিয়া গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করা হতো।
গত কয়েকদিন ইরাকে ঘাঁটি করে থাকা মার্কিন সেনার উপর একের পর এক হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো এসব হামলা চালিয়েছে বলে পেন্টাগনের অভিযোগ। তারই উত্তরে এদিন আমেরিকা হামলা চালায় বলে পেন্টাগনের দাবি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতি বলেছেন, “মার্কিন নাগরিক, সেনা এবং মার্কিন প্রয়োজন রক্ষা করা প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বড় কর্তব্য। সেই কর্তব্যবোধ থেকেই এদিন সিরিয়ায় আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।”লন্ডনে বসবাসকারী একটি সিরিয়ান মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, ইরানের হয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের নয়জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বুধবারের হামলায়।
অস্টিন জানিয়েছেন, দুটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান আক্রমণ চালায় একটি অস্ত্রের গুদামে। ইরানের রিভেলিউশনারি গার্ড ওই গুদামের সঙ্গে যুক্ত। বস্তুত, ওই গুদামটি রিভেলিউশনারি গার্ডের লোকেরাই চালায় বলে পেন্টাগনের দাবি।
জানা গেছে, অক্টোবরে আমেরিকা এবং যৌথবাহিনী ইরাক এবং সিরিয়ায় অন্তত ৪০বার আক্রমণ চালিয়েছে। আমেরিকার বক্তব্য, প্রতিটি আক্রমণই চালানো হয়েছে ইরানের সমর্থিত গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে।
সিরিয়ায় ৯০০ এবং ইরাকে আড়াই হাজার সেনা আছে আমেরিকার। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ওই সেনা এই দুই অঞ্চলে রাখা হয়েছে বলে পেন্টাগনের দাবি। এই দুই মার্কিন ঘাঁটিতেই গত কয়েকদিনে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে।
বস্তুত, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরে এই দুই অঞ্চলেও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র:রয়টার্স, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ