চলমান সংঘাতে হামাসের পক্ষে যায় এমন মন্তব্য করে ইসরায়েলে গ্রেফতার হয়েছেন ইতিহাসের শিক্ষক। তিনি পেতাহ টিকভাত এলাকার একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে মিথ্যা তথ্য ছাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। যোগাযোগ মাধ্যমটিতে তিনি লিখেছিলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেকোনো কিছু করার অধিকার আছে হামাসের।
শিক্ষদের চ্যাট গ্রুপে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রশ্ন করেন, ইসরায়েলি সেনারা কি ফিলিস্তিনিদের ধর্ষণ করেনি? ১৯৪৮ সাল থেকে করে আসছে কিন্তু আমাদের পাঠ্যপুস্তকে এসব উল্লেখ নেই।
সংগ্রাম সফল করতে দখলকৃত একটি জাতির যা যা করতে হয় তার সবকিছুর অধিকার হামাসের রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইসরায়েলি ওই শিক্ষক।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব বক্তব্যের কারণে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি বাহিনীকে শিশু হত্যাকারী বলেও উল্লেখ করেন। শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে যেতে নিরুৎসাহিত করে পোস্ট দেন তিনি।
এক বিবৃতিতে পুলিশ বলছে, আমরা এ ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। ইসরায়েলি শিশুদের তিনি বনোয়াট বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছেন। ইতিহাসের শিক্ষক হয়ে ইতিহাস বিকৃত করছেন। আইডিএফ পাইলটদের দোষারোপ করে বলছেন, তারা খুনি। শত্রুর কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা দিয়েছেন ও যুদ্ধের সময় তাদের সাহায্য করেছেন।
গত ১০ নভেম্বর ওই শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সোমবার পর্যন্ত হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাবে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/আজাদ