পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম একটি সুপারসনিক সামরিক বিমানে পরীক্ষামূলক যাত্রা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বকে রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়া কি না, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই জল্পনা দেখা দিয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকী উদযাপনের মাত্র দু’দিন আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এ শক্তি প্রদর্শন করলো রাশিয়া। এ ধরনের যুদ্ধবিমান তৈরির মধ্যদিয়ে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে আরও গতি অর্জনের চেষ্টা করছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, সুপারসনিক এ বোমারু বিমানটিকে রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় কাজানে অবস্থিত বিমান প্রস্তুতকারক একটি কোম্পানির রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন করে কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে আসতে দেখা যায়।
এ বিমান থেকে নেমে আসার পর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের পুতিন বলেন, ‘এটি সত্যিই একটি নতুন যন্ত্র। এটি বিভিন্ন দিক থেকে একেবারেই নতুন একটি বিমান। এটি পরিচালনা করাও অনেক সহজ। এমনকি আপনি একেবারে খালি ও অপ্রশিক্ষিত চোখ দিয়েও দেখতে পারেন।’
এ বোমারু বিমানের কাছে কর্মকর্তাদেরকে পুতিনের শুভেচ্ছা জানানোর ভিডিও ফুটেজ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বারবার প্রচার করা হয়। ভিডিও ফুটেজে ৭১ বছর বয়সী রাশিয়ার এ নেতাকে বিমানটি থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসতে দেখা যায়।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, পুতিন বিমানটিতে ৩০ মিনিট সময় কাটিয়েছেন। এটি সোভিয়েত পরিকল্পিত একটি কৌশলগত বোমারু বিমান যা রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রাগারের অংশ।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেছেন, সামরিক গোপন পথে বিমানটিতে প্রায় ৩০ মিনিট ভ্রমণ করেছেন পুতিন। টিইউ-১৬০ এম বিমানে চারজন ক্রু রয়েছে। এটি ১২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বা ১২টি স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এছাড়া বিমানটি জ্বালানিবিহীন প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার একটানা উড্ডয়ন করতে পারে।
২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির অধীনে, রাশিয়ার বিমান বাহিনীকে ২০২৭ সাল নাগাদ ১০টি টিইউ-১৬০ পারমাণবিক বিমান সরবরাহ করা হবে। আর এতে খরচ হবে অন্তত ১৫ বিলিয়ন রুবল।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত