২৮ মে, ২০২৪ ০৮:৫১

শেষ দফার ভোট দিন দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক, থাকছেন না মমতা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

 শেষ দফার ভোট দিন দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক, থাকছেন না মমতা

তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ইতোমধ্যে ছয় দফায় ৪৮৬ আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সপ্তম ও শেষ দফায় আগামী ১ জুন ভোট গ্রহণ হবে ৫৭টি লোকসভা আসনে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৯টি আসন। গণনা আগামী ৪ জুন। 

ফল ঘোষণার ঠিক তিন দিন আগে অর্থাৎ শেষ দফায় ভোটের দিনই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে বিরোধী দলের জোট ইন্ডিয়া। ১ জুন এই বৈঠক হবে দিল্লিতে। ইতোমধ্যেই বিরোধীদলের সমস্ত শরিক দলগুলিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। চলমান নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট ভালো ফল করলে সেক্ষেত্রে জোটের ভূমিকা কি হবে, রণনীতি কি হবে- সে সব বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা হতে পারে। 

গত শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোট শেষে কংগ্রেসের দাবি, এই নির্বাচনে ইতোমধ্যেই ইন্ডিয়া জোট ম্যাজিক ফিগার ২৭২ এর লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে, সবমিলিয়ে তারা ৩৫০ আসনে জয় পেতে পারে। কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয় রাম রমেশও দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট’ (এনডিএ)কে সরিয়ে এবার সরকার গঠন করতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। 

কিন্তু আমন্ত্রণ পেলেও ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে হাজির থাকছেন না জোটের অন্যতম শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি। সোমবার কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থনে বড় বাজারে একটি নির্বাচনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মমতা। সেই সভা থেকেই জোটের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার বিষয়টি জানান। মমতা বলেন, ইন্ডিয়া জোট ১ জুন বৈঠক ডেকেছে। আমি বলেছি ১ তারিখ আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এখানে ৯টা আসনে ভোট রয়েছে। ওইদিন পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, বিহারসহ অনেক রাজ্যেও ভোট রয়েছে। আর ভোটের দিন ৬ টার সময় ভোট শেষ হলেও লাইনে অনেক লোক থাকার কারণে কোথাও কোথাও ভোট শেষ হতে রাত ১০টা বেজে যায়। সেক্ষেত্রে আমি কীভাবে যাব? একদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, ত্রাণ শিবির, অন্যদিকে নির্বাচন- সব কিছুই করতে হবে। কিন্তু আমার প্রথম অগ্রাধিকার ত্রাণ শিবির। ওদের দেখা, ওদেরকে ঘর বানিয়ে দেওয়া, ওদের পাশে দাঁড়ানো, সহায়তা করা। আমি এখন হয়তো নির্বাচনী প্রচারণা করছি, কিন্তু আমার মন পড়ে রয়েছে ত্রাণ শিবিরের দিকে। 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকারকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে অগ্রণী ভূমিকা ছিল মমতা। বিরোধীদলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র নামকরণ মমতারই মস্তিষ্ক প্রসূত। প্রায় ২৮টি দলের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে এই জোটে। 

কিন্তু সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণা থেকে মমতা ঘোষণা দেন, এবারের নির্বাচনে এই জোটই ক্ষমতায় আসছে। তবে সেই মন্ত্রিসভায় যোগ না দিয়ে বাইরে থেকে তার দল সমর্থন জানাবে। মমতাকে এই মন্তব্যকে ঘিরে সে সময় নানা রকম জল্পনা ছড়িয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে কংগ্রেস, সিপিআইএমসহ জোটের অন্যতম শরিক দলগুলিকেও খোঁচা মারতে দেখা গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে এবার জোটের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কথা জানালেন মমতা। স্বাভাবিকভাবেই ফের একবার মমতার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা! 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর