লোকসভা উপনির্বাচনে কেরালের ওয়েনাড আসন থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। এমনটাই জল্পনা ছড়িয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে কেরালের ‘ওয়েনাড’ কেন্দ্রের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ‘রায়বেরেলি’ কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দুটি কেন্দ্র থেকেই সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে একটি আসন নিজের দখলে রেখে আরেকটি আসন থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী একের বেশি লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলেও জয়ের পর একটি আসনে নিজের কাছে ধরে রাখতে পারেন। ভোট গণনার দিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় আসনটি থেকে ইস্তফা দিতে হয়। অন্যথায় দুটি আসনই ফাঁকা বলে ঘোষণা করা হবে। গত ৪ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষিত হয়। সেক্ষেত্রে ১৮ জুনের মধ্যে রাহুলকে একটি কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিতে হবে।
শোনা যাচ্ছে ‘রায়বেরেলি’ আসনটি নিজের কাছে রেখে ‘ওয়েনাড’ কেন্দ্রটি থেকে ইস্তফা দিতে পারেন রাহুল। সেক্ষেত্রে ফের ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। আর ওই কেন্দ্র থেকেই এবার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর তাই যদি হয়, ওয়েনাড কেন্দ্রে নির্বাচনে হাতেখড়ি হতে চলেছে প্রিয়াঙ্কার। বুধবারই কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান কে. শুধাকরণ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়েনাড কেন্দ্র থেকে রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করতে পারেন।
শুধাকরণ জানান, যেখানে রাহুল গান্ধীকে জাতির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা, তিনি ওয়েনাড কেন্দ্রে পড়ে থাকবেন বলে আশা করা যায় না। তাই এ ব্যাপারে আমাদের দুঃখ করা উচিত নয়। প্রত্যেকেরই এটি বোঝা উচিত এবং তাকে তাদের সমস্ত শুভেচ্ছা এবং সমর্থন দেওয়া উচিত।
রাহুল নিজেও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে খুবই দ্বিধায় রয়েছেন। যদিও তার দলের সমর্থকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার ওয়েনাড এলাকায় একটি প্রকাশ্য সমাবেশে রাহুলকে বলতে শোনা যায়,‘আপনারা উদ্বিগ্ন হবেন না। আমার সিদ্ধান্তে ওয়েনাড ও রায়বেরেলির মানুষ খুশিই হবেন।’
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে, ওয়েনাড কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যে প্রিয়াঙ্কার সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে প্রিয়াঙ্কাকে এলাকাবাসীর দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
