যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মানুষের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে।
গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের ঘটনার দিকে নজর রাখছি। আমরা স্পষ্টতই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগ দেখছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন ও বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা উচিত। আমরা বুঝতে পেরেছি নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে সম্মত হয়েছেন। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি। কারণ এটি বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে শপথ নেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ রাত ৮টার দিকে এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বুধবার (৭ আগস্ট) সেনা সদর দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল