চীনের সেনাবাহিনী এ সপ্তাহে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সেনা টহল দিয়েছে। মিয়ানমারে তীব্র গৃহযুদ্ধ এবং সংঘাতের প্রভাব নিয়ে চীন উদ্বিগ্ন। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড।
মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাতিগত মিলিশিয়াদের জোট সে দেশের সেনাবাহিনীর ওপর সফল হামলা চালিয়েছে। জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যভ্রষ্ট গোলার আঘাতে চীনের ভেতর পাঁচজন আহত হয়। ইউনানের স্থানীয় সরকার বলছে, মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার জায়গায় সেনামহড়া চলবে।
সেনা ইউনিটগুলো সশস্ত্র টহল, যৌথ বিমান এবং স্থল পেট্রোল চালাবে বলে জানিয়েছে সাউদার্ন কমান্ড। চীনের সেনাবাহিনী গত নভেম্বর মাসে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে পাঁচটি মহড়া চালায়। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ মাসের আগের দিকে বলেছেন, চীন মিয়ানমারে অস্থিতিশীলতা এবং যুদ্ধের বিরোধী।
বেইজিং গত জানুয়ারি মাসে মিয়ানমারে একটি যুদ্ধবিরতির কাজে সাহায্য করেছিল। কিন্তু জুন মাসে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের এক সদস্য নতুন হামলা চালালে ঐ যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে যায়।
মিয়ানমারের সেনা সরকারের নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং প্রচ্ছন্নভাবে চীনের দিকে ইংগিত করে অভিযোগ করেন, বিদেশী রাষ্ট্র জাতিগত মিলিশিয়াদের মদত দিচ্ছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, সে দেশ সফরকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিন অং হ্লাইং-কে বলেছেন যে চীন শান প্রদেশে হামলার বিরোধিতা করে। তিনি আরও বলেন, তিনি আশা করেন মিয়ানমার সে দেশে চীনের নাগরিক এবং প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করবে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক