টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে গৃহযুদ্ধ কবলিত মিয়ানমার। এতে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রাণহানির সংখ্যা জানা গেছে।
রবিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এমএনএ জানায়, ওই সময় পর্যন্ত অন্তত ৬৬ জন নিখোঁজ ছিলেন।
গত সোমবার থেকে মিয়ানমারে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সামরিক জান্তার মুখপাত্র জ্য মিন তুন বলেছেন, সরকার উদ্ধার ও পুনর্বাসন মিশন পরিচালনা করছে।
জাতিসংঘের মানবিক দাতব্য সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে এবং বাগো অঞ্চলের পাশাপাশি পূর্ব ও দক্ষিণের শান, মোন, কায়াহ এবং কায়িন রাজ্যজুড়ে ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে বৃষ্টি ও বন্যায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চল।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ভূমিধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা এবং ৬৫ হাজারেরও বেশি বাড়ি বন্যায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের ৫৫ মিলিয়ন মানুষের প্রায় এক তৃতীয়াংশের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সাহায্য সংস্থা যেমন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস প্রবেশ সীমাবদ্ধতা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে অনেক এলাকায় কাজ করতে পারছে না। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ