তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জাতিসংঘের গাজা পরিস্থিতি নিয়ে নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং গাজাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু ও নারীদের কবরস্থান’ এ পরিণত করার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তৃতাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এরদোয়ান বলেন, গাজায় শুধু শিশুরা মারা যাচ্ছে না, একই সাথে মারা যাচ্ছে জাতিসংঘ ব্যবস্থাও। পশ্চিমা দেশগুলো যে মূল্যবোধের কথা বলে, সেগুলোও একে একে ধ্বংস হচ্ছে, মানবতার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্নও ধ্বংস হচ্ছে।
এরদোয়ান সরাসরি প্রশ্ন করেন, গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসরতরা কি মানুষ নয়? ফিলিস্তিনের শিশুদের কি কোনো অধিকার নেই?
ইসরায়েলের গাজায় চালানো হামলার কড়া সমালোচক এরদোয়ান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তুলনা করেন অ্যাডলফ হিটলারের সাথে। তিনি বলেন, যেভাবে ৭০ বছর আগে মানবতার জোট হিটলারকে থামিয়েছিল, সেভাবেই নেতানিয়াহু এবং তার হত্যাকারী নেটওয়ার্ককে থামাতে হবে।
তিনি গাজায় অবিলম্বে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত ৪১,৪৬৭ মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন আক্রমণে ইসরায়েলে ১,১৩৯ নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দী করা হয়।
এরদোয়ান আরও বলেন, অবিলম্বে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, বন্দী বিনিময় কার্যকর করতে হবে এবং গাজায় কোনো বাধা ছাড়াই মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিন জাতিসংঘে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বিতাড়নকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তার দেশকে বিকল্প আবাসভূমি হিসেবে ব্যবহার করার প্রস্তাবকে নাকচ করেন। তিনি এধরনের প্রস্তাবকে ‘আমাদের অঞ্চলকে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঠেলে দেয়া’ বলে সতর্ক করেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল