ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে ইরানের কোথায় কোথায় আঘাত করা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। এখন পর্যন্ত ইসরায়েল শুধু সামরিক স্থাপনার কথা উল্লেখ করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলি হামলায় রাজধানী তেহরান এবং তার আশপাশের এলাকাগুলো মুর্হুমুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে। রাজধানীতে মোট সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
হামলা শেষে ইসরায়েল জানিয়েছে, ‘প্রতিশোধমূলক হামলা এবং মিশনটি সম্পন্ন হয়েছে।’
দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, রাতে প্রায় ২০টি স্থানে আঘাত করার পর ইসরায়েলের সময় ভোর ৫টা নাগাদ ইরানে ইসরায়েলের হামলা শেষ হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী বলছে, গত ১ অক্টোবর ইরানের ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেল আবিব। ইরানের অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২’। আর ইসরায়েল তাদের অভিযানের নাম দিয়েছে, ডে’স অব রিপেন্টেনস অর্থ্যাৎ ইরানের জন্য ‘অনুতাপের দিন’।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৪০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় বলে ইরান ইন্টারন্যাশনালের খবরে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আই২৪ নিউজ জানায়, ‘ইরানের বিভিন্ন সাইট লক্ষ্য করে ১৪০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইরানের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কমপক্ষে ২০টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বিমান প্রতিরক্ষা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সামরিক কেন্দ্রগুলো।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে তারা। এসব হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা।
সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত