ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং সিরিয়া তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শনিবার হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি হামলা ইরানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এই আক্রমণ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তারা এই হামলাকে ‘একটি উস্কানিমূলক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে, সিরিয়া এক বিবৃতিতে ইরানের প্রতি তাদের সংহতির বার্তা দিয়ে জানায়, ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে তারা পূর্ণ সমর্থন করে। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ইরানের নিজস্ব ভূখণ্ড ও নাগরিকদের সুরক্ষায় তাদের বৈধ প্রতিরক্ষার অধিকার রয়েছে।’
এদিকে ইরানের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে তেহরান। ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিমকে দেওয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান যেকোনো আগ্রাসনের প্রতিউত্তর দেবে।
শুক্রবার রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান ও পাশের কারাজ শহরে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলের এ হামলার সময় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বাংকারে আশ্রয় নেন।
ইসরায়েলি হামলার পর বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের আশপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। লেবাননেও সম্প্রতি ব্যাপক হামলা শুরু করেছে তারা।
ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ছয় মাসের মধ্যে ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা ছিল এটি। এরপর ইসরায়েল ইরানে এই হামলা চালাল।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল