ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শনিবার ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের দুই সেনা নিহত হয়েছে। প্রায় এক মাস আগে ইসরায়েলের ওপর ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই আক্রমণ চালানো হলো, যা মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের এই আক্রমণে ইরানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ইউনিও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব।
১৯৮১ সালের ইরাকের ওপর চালানো অপারেশন ওপেরার সাথে আজকের এই হামলার কিছু মিল রয়েছে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের দিক থেকে এ দুটি হামলার অনেকটাই সাদৃশ্য রয়েছে। দ্য জেরুজালেম পোস্টের তথ্যমতে, শনিবারের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-৩৫সহ ১০০টির বেশি বিমান অংশ নেয়। এই বিমানগুলো প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বিমান রাডার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে আকাশপথ নিরাপদ করে, এরপর ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হয়।
১৯৮১ সালের ৭ জুন, অপারেশন অপেরা নামে ১৪টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরাকের ওসিরাক পরমাণু চুল্লিতে হামলা চালায়। ইসরায়েলি বিমানগুলো কোনো ক্ষতি ছাড়াই সফলভাবে তাদের মিশন সম্পন্ন করেছিল। সে সময় এফ-১৬ এবং এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো কম উচ্চতায় উড়ে গিয়ে ইরাকের আকাশসীমা পাড়ি দেয়।
তবে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে শনিবারের হামলায় ইসরায়েলকে আগের মতো সীমাবদ্ধতার মুখে পড়তে হয়নি। যদিও ইরানের আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকার কারণে ইসরায়েলের বড় ধরনের ঝুঁকি ছিল।
এদিকে ইরানের সেনাবাহিনীর পক্ষ শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় দুজন সেনা নিহত হয়েছেন। এর আগে ইরানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইলাম, খোজেস্তান ও তেহরান—এ তিনটি প্রদেশে সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভোরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে হামলায় ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করার কথাও জানায় ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করার দাবি করে। এ-সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে দেখা গেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল