শনিবার ভোরে ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই আক্রমণের পরিকল্পনা ইসরায়েল আগে থেকেই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ইরানকে জানিয়ে দেয়, যেন আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি না পায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানায়, ইসরায়েলের এই সতর্কবার্তায় লক্ষ্যস্থলগুলোর অবস্থান এবং হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। একজন সূত্র জানান, ‘ইসরায়েলিরা ইরানকে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, তাদের লক্ষ্য কেবল নির্দিষ্ট কিছু স্থাপনা।’
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কারখানা ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। আইডিএফ’র মতে, ১ অক্টোবর ইরান যে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল, সেগুলো ওইসব স্থাপনা থেকেই প্রেরিত হয়েছিল।
দুটি সূত্র জানায়, ইসরায়েল হামলার পরিকল্পনার পাশাপাশি ইরানকে সতর্ক করে দেয়—যদি পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করা হয়, তবে ইসরায়েল আরও কঠোর এবং ব্যাপক পাল্টা জবাব দেবে। এদিকে ইরানও ইসরায়েলকে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজকে ইরানের একটি সূত্র জানায়, ইসরায়েলের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব ইরান অবশ্যই দেবে।
হামলার পর শনিবার ভোরে তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দে শহরের পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরতরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাসনিম নিউজের তথ্য মতে, ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়, এবং বিস্ফোরণের শব্দ সেগুলোর প্রতিফলন।
ইরান গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল। এর মাধ্যমে ইসমাইল হানিয়া ও হাসান নাসরুল্লাহসহ ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত নেতাদের হত্যার জবাব দেয় তেহরান। ইরান ইসরায়েলকে একটি বৈধ রাষ্ট্র মনে করে না বরং এটাকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল