সুদানে চলমান ১৮ মাসের যুদ্ধ মারাত্মক মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ক্ষমতা ভাগাভাগির সমঝোতা ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই এই সংঘাত তীব্র হয়, যার ফলে দেশজুড়ে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এই সংঘাতে সরাসরি সহিংসতার শিকার হয়ে ১৮,০০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ‘আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা’র (ACLED) তথ্য জানায়। তবে, প্রচুর পরিমাণে ‘পরোক্ষ মৃত্যু’ সংঘটিত হয়েছে জরুরি সেবা, খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবের কারণে। সুদানে স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো প্রায় ৮০% অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, পরিষ্কার পানি এবং খাদ্যের অভাবে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।
জাতিগত বিদ্বেষের কারণে দারফুর অঞ্চলটি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার শিশুদের মধ্যে খাদ্য সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রতিদিন গড়ে ১৩ জন শিশু মারা যাচ্ছে। ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও, অপুষ্টি, কলেরার মতো সংক্রামক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সংকটের সঠিক মূল্যায়ন কঠিন, কারণ জনসংখ্যার বড় অংশের স্থানান্তর এবং পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব। তবে, এ ধরনের সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ অপরিহার্য, যাতে ভবিষ্যতে এমন মানবিক বিপর্যয় প্রতিরোধ করা যায়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল