পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তার দল তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) ব্যাপক বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ পিটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। রবিবার তিনি এ প্রস্তাব দেন এবং জানান, পিটিআইয়ের জন্য আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। তবে ইমরান খান রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বেশি আগ্রহী।
সম্প্রতি ইমরান খান সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন যা ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে উঠে আসে। তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে দু'দফা বিক্ষোভ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দারপুরের নেতৃত্বে এই সমাবেশ হলেও তা খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ বলেন, ‘পিটিআই ও ইমরান খান মিথ্যাবাদী এবং তাদের আগের বিক্ষোভগুলোর মতো এবারও ব্যর্থ হবে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, পিটিআই নেতারা কর্মীদের জড়ো করে বিক্ষোভে নামালেও মাঝপথে ফেলে পালিয়ে যান।
পিএমএল-এন পার্টির প্রধান নওয়াজ শরিফ লন্ডনে বলেন, পিটিআইয়ের সমাবেশ পাকিস্তানের অগ্রগতিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। বরং তিনি দাবি করেন, ইমরান খানের নেতৃত্বে দেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তিনি দেশের সম্মান নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ করেন নওয়াজ।
২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খান পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান এবং এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেফতারের পর থেকে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল