বাংলাদেশ–ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার তেঁতুলবেরিয়া সীমান্ত চৌকির অধীনে ৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা এই স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই স্বর্ণের চালানটি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল।
বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সোমবার তেঁতুলবেরিয়া সীমান্ত চৌকি এলাকার অধীনস্থ আঁচলপাড়া গ্রামে একটি অভিযান চালায়। এসময় সন্দেহভাজন একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫.৯ কেজি ওজনের ৫০টি স্বর্ণের বার। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪.৩৬ কোটি রুপি।
জানা গেছে, তেঁতুলবেড়িয়া সীমান্ত চৌকি থেকে প্রায় ২,৭০০ মিটার পিছনে আঁচলপাড়া/পাঁচপোতা গ্রামে চোরাচালান কার্যকলাপ সম্পর্কে আগাম তথ্য পায়। তার ভিত্তিতেই বিএসএফ সদস্যরা সন্দেহজনক স্থানে অভিযান শুরু করে। অভিযুক্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তার বাড়ির কাছে বিএসএফ দলকে দেখে পিছনের গেট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাকে চ্যালেঞ্জ জানায়, কিন্তু তারপরেও ওই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়, যার ফলে চোরাকারবারী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং নিরুপায় হয়ে ধরা দেয়।
ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে তল্লাশি করে কালো কাপড়ের বেল্টে মোড়ানো ৫০টি স্বর্ণের বার একটি সিন্থেটিক ক্যারি ব্যাগে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। জব্দকৃত স্বর্ণসহ ওই ব্যক্তিকে পরবর্তী তদন্তের জন্য তেঁতুলবেড়িয়া সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে, লোকটি নিজেকে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলে দাবি করেছে। তিনি বলেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য চোরাচালানের সাথে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সোমবার সকালের দিকে তিনি ওই স্বর্ণের চালানটি হাতে পান এবং নিজের কাছে ১-২ ঘন্টার জন্য রেখে তারপরে অন্য এক অচেনা ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এইজন্য চালান প্রতি ৫০০ থেকে ১,০০০ রুপি পেতেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সেগুলি হস্তান্তর করার আগেই বিএসএফ কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এবং জব্দ করা স্বর্ণ পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (ডিআরআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম