ফিলিস্তিনে মার্কিন-ইসরায়েলি ‘জাতিগত নির্মূল’ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া জানাতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস সপ্তাহান্তে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ এবং সংহতি মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস বিশ্বজুড়ে জনগণকে রাজধানী শহরগুলিতে গণহত্যার প্রতিবাদে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। আগামী শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবারকে গাজার নিপীড়িত জনগণের উপর শাসকগোষ্ঠীর গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
হামাস বিবৃতিতে বলেছে, "আমরা ... আমাদের জনগণ, আমাদের আরব ও ইসলামী জাতি এবং বিশ্বের মুক্তকামী জনগণকে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনার" নিন্দা জানাতে বিশাল সংহতি মিছিলে বের হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।"
আন্দোলনটি বলেছে, এই বিক্ষোভগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের ভূখণ্ড রক্ষার অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং তাদের স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন।
ইসরায়েলের ১৫ মাসের গণহত্যার সময় গাজার জনগণের পক্ষে বিশ্বব্যাপী সমর্থন এবং সংহতির জন্যও হামাস কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
শনিবারের মধ্যে হামাস যদি সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি না দেয়, তাহলে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধ শুরু করার এবং গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের হুমকি দেওয়ার দিনই এই বিবৃতি দেওয়া হল।
ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে হামাস মার্কিন ও ইসরায়েলি হুমকির কাছে মাথা নত করবে না বলে হামাস জানিয়ে দিয়েছে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, ইসরায়েল "যুদ্ধবিরতি চুক্তির বেশ কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন এড়িয়ে যাচ্ছে", সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে ইসরায়েল চুক্তি মেনে না চললে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
এদিকে, হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তাদের শীর্ষ আলোচক এবং গাজা প্রধান খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল "কায়রোতে পৌঁছেছে এবং মিশরীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শুরু করেছে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করছে।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল