ইউক্রেন ও রাশিয়ার দীর্ঘ তিন বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে রবিবার সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।এই বৈঠকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ নেতৃত্ব দেবেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেতৃত্বে থাকার কারণে কিয়েভ দ্রুত ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা।
এই বৈঠকটি মূলত সোমবার নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনা-এর আগের প্রস্তুতি হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে কিয়েভ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেওরহি টিখি জানিয়েছেন, রিয়াদের এই বৈঠকটি কেবলই কারিগরি আলোচনা। আলোচনায় যুদ্ধবিরতির ধরন, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্মতি জানান।
এর ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেন ৩০ দিনের জন্য একে অপরের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। তবে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি যুদ্ধবিরতির পক্ষে থাকলেও এই চুক্তিটি এখনো সীমিত পর্যায়ে রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী যে এপ্রিলের মাঝামাঝি, বিশেষ করে ২০ তারিখের মধ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সোমবার সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা কৃষ্ণসাগরে নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আলোচনা করবেন।তবে যুদ্ধ এখনো পুরোপুরি থামেনি। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় পক্ষই নতুন হামলার খবর দিয়েছে। শনিবার রাতে রুশ ড্রোন হামলায় কিয়েভে এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৫৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। রোস্তভ অঞ্চলে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় রুশ কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/কবিরুল