পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। কয়েকদিন ধরে সীমান্তে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে দু’দেশের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যে কোনো সময় সংঘাতে জড়াতে পারে পাকিস্তান ও ভারত।
দেশটির এমন জাতীয় ইস্যু এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নরেন্দ্র মোদির আগ্রাসন ভারতীয় শত্রুতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে জানিয়ে তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘যুদ্ধ-প্ররোচনার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তার পোস্ট অনুসারে, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আইনজীবীদের সাথে আলোচনার সময় কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমরা এই ভুয়া শাসনব্যবস্থাকে (শেহবাজ সরকার) প্রত্যাখ্যান করলেও, পাকিস্তানি জাতি হিসেবে আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি এবং মোদির যুদ্ধ-প্ররোচনা ও আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ তার বিপজ্জনক উচ্চাকাঙ্ক্ষার তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো জাল ফর্ম-৪৭ ফলাফলের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয়া একটি অবৈধ সরকারের জন্য জাতি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবুও, বিদ্রূপাত্মকভাবে নরেন্দ্র মোদির আগ্রাসন ভারতীয় শত্রুতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণকে এক কণ্ঠে ঐক্যবদ্ধ করেছে।’
ইমরান খান পহেলগাম ঘটনার শিকার এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আত্মসমালোচনা এবং তদন্তের পরিবর্তে, মোদি সরকার আবারও পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা জানান, যখন পালওয়ামার ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশনের ঘটনা ঘটে, ইসলামাবাদ তখন নয়াদিল্লিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ভারত সরকার ওই ঘটনার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি যেমনটা ধারণা করেছিলাম, পহেলগাম ঘটনার পর আবারও একই ঘটনা ঘটছে। আত্মসমালোচনা এবং তদন্তের পরিবর্তে, মোদি সরকার আবারও পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
ইমরান খান বলেছেন, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাবনা অনুসারে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের গুরুত্বের ওপর আমি সর্বদা জোর দিয়েছি। আমি এই সত্যটিও তুলে ধরেছি যে, আরএসএস মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করে চলা ভারত কেবল এই অঞ্চলের জন্যই নয় বরং এর বাইরেও একটি গুরুতর হুমকি। ৩৭০ ধারা অবৈধভাবে বাতিলের পর কাশ্মীরে ভারতীয় নিপীড়ন তীব্রতর হয়েছে, যা কাশ্মীরি জনগণের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে আরও তীব্র করে তুলেছে।’
সূত্র : দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ