ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার শাফাক নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির আল-জাওফ প্রদেশের অন্তত চারটি স্থানে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
হুতিদের নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল ‘আল-মাসিরাহ’ জানিয়েছে, লালসালাম অঞ্চলে হুতিদের প্রভাব কমাতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এই সর্বশেষ হামলা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে এর আগে জানানো হয়েছিল—"অপারেশন রাফ রাইডার"-এর আওতায় হুতিদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ও তীব্র সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।
সেন্টকমের তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৮০০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যসহ শত শত হুতি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, এই অভিযানের পর থেকে হুতিদের হামলার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ৬৯ শতাংশ এবং একমুখী ড্রোন হামলা ৫৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, ১৫ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে প্রায় ১,০০০টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে ২১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৩৬ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এক টেলিভিশন ভাষণে হুতি নেতা আবদুল মালিক আল-হুথি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের দমন-পীড়ন সত্ত্বেও তারা তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, রেড সি, বাব আল-মানদাব, গালফ অব এডেন এবং আরব সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হুতিদের অভিযান অব্যাহত থাকবে ফিলিস্তিনের গভীরভাগেও এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা হুতিদের থামাতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম