জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকু এতো পদত্যাগ করেছেন, যা দেশের চলমান চাল সংকটের মধ্যে তার বিতর্কিত মন্তব্যের ফলে সৃষ্ট জনরোষের প্রতিক্রিয়া।
গত সপ্তাহে একটি সেমিনারে তিনি বলেন, "আমাকে কখনও চাল কিনতে হয়নি, কারণ সমর্থকেরা উপহার হিসেবে চাল দেন।" এই মন্তব্যটি এমন সময়ে আসে যখন জাপানে চালের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং জনগণ খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহে কঠিন সময় পার করছে।
প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার নেতৃত্বাধীন সরকার ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা হ্রাসের মুখে পড়েছে এবং এতো'র মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। জনগণের চাপ এবং বিরোধী দলের অনাস্থা প্রস্তাবের হুমকির মুখে এতো পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের সময় তিনি বলেন, "চালের দাম বৃদ্ধির কারণে নাগরিকরা যেখানে কষ্ট পাচ্ছেন, সেখানে আমি খুবই অনুপযুক্ত মন্তব্য করেছি।"
জাপানে চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ২০২৩ সালের তীব্র গরমে ফসলের ক্ষতি, পর্যটনের বৃদ্ধি এবং সরবরাহ চেইনে সমস্যা। সরকার জরুরি মজুত থেকে চাল বাজারে ছাড়লেও তা দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া বিতরণ ব্যবস্থায় অসামঞ্জস্যতা এবং কিছু এলাকায় চালের ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা ইতোমধ্যে এতো'র পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, এই নিয়োগের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। তিনি আরও জানান, নতুন কৃষিমন্ত্রী হিসেবে শিনজিরো কোইজুমির নাম বিবেচনায় রয়েছে।
এই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী ইশিবার জন্য বড় ধাক্কা। কারণ আগামী জুলাই মাসে জাপানের উচ্চকক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ইশিবার জনপ্রিয়তা সর্বনিম্ন ২৭.৪ শতাংশে নেমে গেছে।
তথ্য সূত্র- দ্যা গার্ডিয়ান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ