ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভিয়েতনামের হ্যানয়ে পৌঁছানোর সময় বিমান থেকে নামার মুহূর্তে ম্যাক্রোঁর মুখ তার স্ত্রীর হাত থেকে সামান্যের জন্য এড়িয়ে যাচ্ছেন। এই দৃশ্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা, আর তাতেই রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য যেন আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে।
জাখারোভা টেলিগ্রামে রসিকতা করে লেখেন, ‘ম্যাক্রোঁ কী স্ত্রীর কাছ থেকে একটি ডান হাতের ঘুষি খেয়েছেন? এরপর তিনি ব্যঙ্গ করে আরও বলেন, ‘হয়তো স্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিল মুখে আদর করে হাত রাখা, কিন্তু একটু বেশি জোরে হয়ে গেছে? নাকি একটি রুমাল দিতে গিয়ে ভুল করে মুখে লাগিয়ে দিয়েছেন? কিংবা কলার ঠিক করতে গিয়ে সরাসরি মুখে পৌঁছে গেছেন? সবশেষে তিনি যোগ করেন, ‘টিপস দিচ্ছি: হতে পারে এটি ‘ক্রেমলিনের হাত’!’
ভিডিওটি কিছু সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী এমনভাবে উপস্থাপন করছেন, যেন এটি ম্যাক্রোঁ দম্পতির মধ্যে কোনো পারিবারিক বিরোধের ইঙ্গিত বহন করে। বিষয়টি ইতোমধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতেও একাধিকবার দেখানো হয়েছে এবং ফ্রান্সবিরোধী নানা অনলাইন অ্যাকাউন্টে ব্যাপকভাবে প্রচার পেয়েছে।
তবে এসব ব্যাখ্যা নাকচ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিবাদ হয়নি। আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সবসময়ই মজার ছলে কথাবার্তা বলি। ভিডিওটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি আগে আমার কোকেন খাওয়া বা তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ জানানো নিয়েও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল। এগুলোর কোনোটিই সত্য নয়। সবাইকে শান্ত হওয়া উচিত।
এর আগেও জাখারোভা ও মার্কিন ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক অ্যালেক্স জোন্স দাবি করেছিলেন, ইউক্রেন সফরের সময় ম্যাক্রোঁসহ জার্মান ও ব্রিটিশ নেতারা ট্রেনের ভেতরে মাদক সেবন করেছিলেন। একটি রুমালকে কোকেনের প্যাকেট মনে করে এমন দাবি করা হয়েছিল, যদিও তা প্রমাণিতভাবে ভুল ছিল।
এইসব বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল