ফিলিপাইনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। ভুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে করদাতাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্যরা বিপুল অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন- এমন অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।
এর প্রতিবাদে রবিবার ফুঁসে উঠে ফিলিপাইন। ছাত্র, চার্চ সংগঠন, সেলিব্রিটি এবং নানা রাজনৈতিক দলের সাধারণ নাগরিকরা ম্যানিলা ও অন্যান্য শহরে একত্রিত হন। শহরের হিসাবে, রবিবার সকালে ম্যানিলার এক পার্কে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হন। পরে রাজধানীর বিখ্যাত এডিএসএ সড়কেও হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন।
যদিও বিক্ষোভ ছিল মূলত শান্তিপূর্ণ, তবুও দুটি ঘটনায় ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে ২০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। কমপক্ষে ৩৯ জন পুলিশ আহত হয়েছে এবং একটি ট্রেলার, যা ব্যারিকেড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল, সেটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। পুলিশের মতে, গ্রেপ্তাররা প্রকৃত বিক্ষোভকারী নাকি উপদ্রবকারী এ বিষয় পরিষ্কার নয়।
পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিসের দাবি, জলবায়ু-সম্পর্কিত প্রকল্প থেকে শুধু ২০২৩ সালেই ১৩ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযোগগুলো প্রথম সামনে আসে জুলাই মাসে, যখন মৌসুমি বৃষ্টি ও ঝড় পুরো দেশকে প্লাবিত করে লাখো মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে। ফিলিপাইন প্রতি বছর প্রায় ২০টি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
সরকারি হিসাবে, দুর্নীতিতে গত দুই বছরে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১.৪৮ বিলিয়ন পাউন্ড সমপরিমাণ অর্থের।
সূত্র : গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ