বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার ভ্যাকসিনে আশার আলো

করোনার ভ্যাকসিনে আশার আলো

বিশ্ব আক্রান্ত করোনাভাইরাসে। ঘরবন্দী মানুষ চেয়ে আছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছ থেকে সুখবরের আশায়। গবেষকরা জানিয়েছেন আশার কথা। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ওষুধ ও ভ্যাকসিন নিয়ে চলমান গবেষণায় আশাবাদী হওয়া যায়। করোনাভাইরাস গত তিন মাসে অচল করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। এ কারণে ভ্যাকসিন ও ওষুধ দ্রুত বাজারে আনতে মরিয়া ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা ভাইরাসের মতোই সার্স কোভ-২-এর জন্য প্রতিষেধকের খোঁজ করে চলেছিলেন এতদিন। সেই গবেষণার হাত ধরেই কয়েকটি ওষুধের ওপর পরীক্ষা জোরদার করেছেন। রাশিয়া গতকাল জানিয়েছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত।

রাশিয়ার হাতে সম্ভাবনাময় ভ্যাকসিন : চীন, আমেরিকা ও জাপানের ডাক্তাররা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেক দূর এগিয়েছেন। পিছিয়ে নেই রাশিয়া। দেশটির ডাক্তাররা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ছয়টি ওষুধ আবিষ্কার করেছে তারা। এখন এসব ওষুধের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে শক্ত পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি নিয়ে এখন পর্যন্ত বড় আকারের দুর্যোগ থেকে স্বস্তিতে আছে দেশটি। সেই প্রচেষ্টায় রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ভ্যাকসিনস আশার কথা শুনিয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তাদের উদ্ভাবিত প্রতিষেধক সম্ভাবনায় ভ্যাকসিনের তালিকায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রে সফল পরীক্ষা : একদল মার্কিন গবেষক দাবি করছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে, মুখে খাওয়ার এমন ওষুধ বা বড়ি নিয়ে পরীক্ষাগারে সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা। এই ওষুধটি সার্স কোভ-২ ভাইরাসের উচ্চ সংখ্যায় পুনরোৎপাদন এবং সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে। ইঁদুরের ওপরও এ ওষুধ নিয়ে তারা গবেষণা করে দেখেছেন এটি করোনাভাইরাসকে পুনরোৎপাদনে বেশ কিছুদিন বাধা দেওয়ার এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের একদল গবেষক নতুন ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেছেন।

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে যত আলোচনা : করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়ে সারা বিশ্বে আালোচনা হচ্ছে। চীন, ইতালিসহ কয়েকটি দেশে এই ওষুধ ব্যবহার করে সুফল পাওয়া গেলেও এটির সফলতার হার নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ওষুধটির কার্যকারিতার গুণগান করার পর সারা বিশ্বেই আলোচনার ঝড় ওঠে। দেশে দেশে ওষুধটি কতটা কার্যকর সে নিয়ে ইতিবাচক, নেতিবাচক দুই ধরনের মতামত পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর