মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ভারত-নেপাল সম্পর্কে কোনো শক্তি চিড় ধরাতে পারবে না : রাজনাথ

দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারত-নেপাল সম্পর্কে কোনো শক্তি চিড় ধরাতে পারবে না : রাজনাথ

ভারত ও নেপালের মধ্যেকার সম্পর্ক অতি সাধারণ নয়। দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক গভীর। বিশ্বের কোনো শক্তি এই দুদেশের সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে পারবে না। সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও নেপালের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই এই মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

গতকাল দিল্লি থেকে ‘ভার্চুয়াল র‌্যালি’র মাধ্যমে উত্তরাখন্ডের বিজেপির দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন ‘লিপুলেখ ও ধরচুলার মধ্যে নির্মিত নতুন রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ভূখ-ের মধ্যেই নির্মিত হয়েছে এবং তা নির্মাণ করেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এ নিয়ে নেপালের মানুষের মধ্যে যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে তা আলোচনার মধ্যে সমাধান করা হবে এবং আমি এটা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি যে কোনো ভারতীয় নাগরিকই নেপালকে ঘৃণার চোখে দেখে না, কারণ আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই মজবুত।’ দুদেশের মধ্যে মানুষে-মানুষে যোগাযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাজনাথ সিং বলেন ‘ভারত-নেপাল সম্পর্ক কোনো অতি সাধারণ নয়। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক হলো রোটি ও বেটির মতো। বিশ্বের কোনো শক্তি এই সম্পর্ককে ভাঙতে পারবে না।’ ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অভিমত ‘এই দুই দেশের মধ্যে কেবলমাত্র ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক বা সামাজিক সম্পর্কই বিরাজ করছে না, দুদেশের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক সম্পর্কও রয়েছে। ভারত তা কখনো ভুলতে পারে না।’ তার প্রশ্ন ‘বাবা পশুপতিনাথকে কি (নেপালের পশুপতিনাথ মন্দির) কখনো ভোলা যায়? তাকে কি বাবা অমরনাথ, সোমনাথ এবং কাশী বিশ্বনাথ থেকে আলাদা করা যায়? এই সম্পর্ক কেবলমাত্র এই বিশ্বের নয়, বরং এটা অন্য জগতের।’  উল্লেখ্য ভারত ও নেপাল সীমান্তে ভারতের সদ্য তৈরি করা একটি পার্বত্য রাস্তাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছায়। গত মে মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিপুলেখ থেকে ধরচুলা পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি লিঙ্ক রোডের উদ্বোধন করেন। তারপরই নেপাল তাতে আপত্তি জানায় এবং ওই এলাকাটিকে তাদের বলে দাবি করে। যদিও ভারতের তরফে বলা হয় নতুন ওই রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ভূখন্ডের মধ্যেই নির্মিত হয়েছে। এরপর গত মে মাসের মাঝামাঝি নেপাল একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে যেখানে ভারতের তিনটি ভূখ--লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধাউরাকে নেপালের ভূখ- হিসেবে দাবি করা হয়। ভারতের তরফেও আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু ভারতের আপত্তি উড়িয়ে দিয়েই গত সপ্তাহেই নেপাল সরকার সংসদের নি¤œকক্ষে পরিবর্তিত মানচিত্রটি পাস করায়। যদিও ভারতের তরফে নেপালের নতুন ওই মানচিত্রকে কোনো মান্যতাই দেওয়া হয়নি। গোটা বিষয়টিকে  নেপালের ‘একতরফা পদক্ষেপ’ বলেও ভারতের তরফে দাবি করা হয়।

সর্বশেষ খবর