রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

আফগানিস্তান থেকে সমরাস্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তান থেকে সমরাস্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তান থেকে সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের অংশ হিসেবে এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আফগানিস্তান মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। সূত্রগুলো জানিয়েছে, সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিরাপদ করতে অঞ্চলটিতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছে পেন্টাগন। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর অব্যবহৃত সমরাস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জামাদি অপসারণ বা আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর এবং অপ্রচলিত সরঞ্জাম ধ্বংসের ওপর জোর দিচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসন। দেশটির সেনাবাহিনীর জেনারেল কেনেথ ফ্র্যাংক ম্যাকেঞ্জি বলেন, আফগান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়বে। জেনারেল আরও বলেন, তালেবানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত তারা কী করে। যদি তারা আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়, তাহলে তাদের চুক্তি মেনে চলতে হবে। জেনারেল আরও জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর প্রতিবেশী কোনো দেশে গোয়েন্দা রাখার বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশটির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা যাবে। শীর্ষস্থানীয় এ জেনারেল আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর যদি নতুন কোনো সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলার জন্য দেশটিতে, এমনকি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যও আবার যেতে চায় তাহলে তাকে প্রচন্ড বাধার সম্মুখীন হতে হবে। উল্লেখ্য, গত বছর তালেবানদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ১ মে-র মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলে আসছেন ১ মে-র সময়সীমা পূরণ করা কঠিন হবে। পরে ১১ সেপ্টেম্বর সেনা প্রত্যাহারের ডেটলাইন নির্ধারণ করা হয়। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কয়েকটি বি-৫২ বোমারু বিমান এবং বাড়তি সেনা পাঠানো হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। আল-জাজিরা, সিএনএন।

সর্বশেষ খবর