শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মার্কিনিদের টেক্কা দিতে চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে চীন

স্পেস স্টেশনে তিন নভোচারী

মার্কিনিদের টেক্কা দিতে চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে চীন

গত শতকের পাঁচ ও ছয়ের দশক জুড়ে মহাকাশে সোভিয়েত (আজকের রাশিয়া) ও আমেরিকার রীতিমতো শেয়ানে শেয়ানে টক্করের কথা সবার জানা। তারপর এতগুলো দশক ধরে কার্যত রাজত্ব করছে নাসা। কিন্তু এবার সেই একচ্ছত্রাধিপত্যে ভাগ বসাতে হাজির হয়ে গেছে চীন। আর তাই মহাকাশে নিজের আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত নাসা। কোনো এলোমেলো সূত্র নয়, খোদ নাসার প্রশাসনিক কর্তাই এমনটা জানিয়েছেন। ২০২৪ সালে চাঁদে আবারও মানুষ পাঠাচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু ওই দুই মার্কিন মহাকাশচারীর আগেই বেইজিং চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে বসবে না তো? নাসার বিল নেলসন জানিয়েছেন, ‘আপনারা সবাই শুনেছেন চীন সরকার জানিয়ে দিয়েছে, চাঁদে মানুষ পাঠানোর বিষয়ে তারা আর ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয়।’ তাঁর মতে, ২০২৪ সালে চাঁদে দুই মার্কিন নভোচরকে পাঠানো নিয়ে আমেরিকাকে প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হতেই পারে। আর তাই তাঁরাও তাঁদের অভিযানের সময় এগিয়ে আনতে পারেন। প্রসঙ্গত, শেষবার গত শতাব্দীর সাতের দশকে চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল নাসা। কিন্তু হঠাৎ কী করে এতটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠল বেইজিং? আসলে গত ফেব্রুয়ারিতেই মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে চীনা মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১। এখানেই শেষ নয়। গত ১৪ মে মঙ্গল গ্রহের মাটিতে নেমেও পড়েছে চীনা রোভার। প্রথম মঙ্গল অভিযানের এই সাফল্যই চীনকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।

তিন নভোচারী নিয়ে চীনের শেনঝু-১২ মহাশূন্যে : নতুন স্পেস স্টেশন নির্মাণের জন্য তিন নভোচারীকে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাল চীন, যারা সেখানে তিন মাস অবস্থান করবেন। শেনঝু-১২ নামের একটি ক্যাপসুলে তিন নভোচারীকে নিয়ে গতকাল পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে রওনা হয় দীর্ঘকায় একটি মার্চ ২এফ রকেট। চীনা ভাষায় শেনঝু অর্থ ‘স্বর্গীয় তরী’। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০ কিলোমিটার

উচ্চতায় ওই মডিউল থেকেই স্পেস স্টেশন নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেবেন তিন নভোচারী হাইশেং (৫৬), লিউ বোমিং (৫৪) ও তাং হংবো (৪৫)।

সেখানে ভবিষ্যৎ স্পেস স্টেশনের ‘লিভিং কোয়ার্টার’ রয়েছে। তিন নভোচারী তিয়ানহেতে তিন মাস অবস্থান করবেন। সেক্ষেত্রে তা হবে চীনের নভোচারী হিসেবে মহাকাশে দীর্ঘতম সময় অতিবাহিত করার রেকর্ড।

সর্বশেষ খবর