ওয়াশিংটন এখন প্রকাশ্যে ইরানকে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে বলছে। তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান আলোচনার জন্য সহায়ক নয়। ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের আপস বা সমঝোতার পথ খোলা রাখবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতমুখী অবস্থান এবং কথাবার্তার অসঙ্গতি নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
চতুর্থ দফা ইরান-মার্কিন পরোক্ষ বৈঠকের আগে ওমানের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় আরাগচি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা বা আপসের প্রশ্নই ওঠে না। তিনি জানান, ইরান তার নীতিগত অবস্থান থেকে এক চুলও সরে আসবে না। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে যে বিরোধ তা কমিয়ে আনতে ফের আলোচনায় বসছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন; তার আগে ওয়াশিংটন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
এর মধ্যে দুই পক্ষের আলোচনাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গতকাল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ওমানি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে চতুর্থ দফার আলোচনায় বসছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০১৯ সাল থেকে নাটকীয়ভাবে বাড়াতে বাড়াতে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধতার মাত্রায় নিয়ে গেছে, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে মোটামুটি ৯০ শতাংশ লাগে, বলছে জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা। -এএফপি