এমন বাঙালি খুব কম আছেন, যিনি আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন না। যারা যেতে পেরেছেন, স্থায়ী হয়েছেন, তারা ভাগ্যকে সাধুবাদ দেন না। শুধু বাঙালি বললে বোধ হয় ভুল হবে, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বপ্ন আমেরিকায় আসা। তারা ভাবেন আমেরিকা এক স্বপ্নের দেশ। আমেরিকা মানেই কোটি কোটি ডলার, ঝকঝকে তকতকে বাড়ি, সামনে বিস্তীর্ণ লন, পেছনে ব্যাকইয়াড, সুইমিং পুল, দামি গাড়ি আরও কত কী। তাই তো যখন ডিভি লটারি ছাড়া হয় পাগলের মতো সবাই অ্যাপ্লাই করেন। যারা লটারি পান, তাদের তো পোয়াবারো। যারা পান না, তারা কপাল চাপড়ান।
এসব আমি ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছি। আমি সেই বিরল মানুষের একজন যে কোনো দিন বিদেশে স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। যার সব চিন্তাভাবনা স্বপ্ন একীভূত ছিল দেশকে নিয়ে। কিন্তু স্বপ্ন না দেখলেও কার্যসূত্রে, বেড়াতে সন্তানদের কাছে থাকার জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে আমেরিকায়। বুঝতে চেষ্টা করেছি আমেরিকার জীবনটা আসলে কেমন। সেখানে কী সত্যিই বাতাসে ডলার উড়ে বেড়ায়, সুখের পায়রা বাকুম বাকুম করে অবিরত!
একটা দেশের জন্মের পেছনে ইতিহাস থাকে। থাকে সময়ের পথপরিক্রমা। আমেরিকারও আছে। আমেরিকার পুরো নাম ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা। সংক্ষেপে ইউএসএ বা স্টেটস। যুক্তরাষ্ট্র অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলা হয়। দেশটি আমেরিকা নামেও পরিচিত। দেশটির আয়তন প্রায় ৯৮ দশমিক ৩ লাখ বর্গকিলোমিটার (৩৭ দশমিক ৯ লাখ বর্গমাইল)। জনসংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি ৮২ লাখ। আয়তনের হিসাবে এটি বিশ্বের তৃতীয় অথবা চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। স্থলভূমির আয়তন ও জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। ৫০টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে দেশটি গঠিত। জনসংখ্যার ৮০ ভাগ সাদা আমেরিকান, বাকিদের মধ্যে আছে ব্ল্যাক আমেরিকান, নেটিভ আমেরিকান (স্পেনিশ), এশিয়ান আমেরিকান ও অন্যান্য।
১৫০৭ সালে জার্মান মানচিত্রকর মার্টিন ওয়াল্ডসিম্যুলার বিশ্বের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। এই মানচিত্রে তিনি ইতালি আবিষ্কারক ও মানচিত্রকর আমেরিগো ভেসপুচির নামানুসারে পশ্চিম গোলার্ধের নামকরণ করেন ‘আমেরিকা’। আমেরিকার আদিবাসীরা রেড ইন্ডিয়ান। এর পরেই আসে আফ্রিকা থেকে কৃষ্ণ অধিবাসীরা। এই কালো মানুষরা একসময় শ্বেতাঙ্গদের ক্রীতদাস ছিল। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের প্রচেষ্টায় বিলোপ করা হয় দাসপ্রথা। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূমি এবং আলাস্কাতে এখনো যে আদিবাসীরা বাস করে, তারা এশিয়া থেকে অভিবাসী হয়ে প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে আসা শুরু করেছিল। তবে ১২ হাজার বছর আগে তাদের আসার ব্যাপারটি প্রায় নিশ্চিত। তারা অগ্রসর কৃষি, স্থাপত্য এবং রাজ্যসদৃশ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। ইউরোপীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৯২ সালের ১৯ নভেম্বর আমেরিকা অঞ্চলের পুয়ার্তোতে পা রাখে। এর ফলে আদিবাসী আমেরিকানদের সঙ্গে ইউরোপীয়দের যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
১৮৭০-এর দশকে মার্কিন অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির শিরোপা পায়। স্পেন-মার্কিন যুদ্ধ ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সামরিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা দান করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই দেশ প্রথম পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। শীতল যুদ্ধের শেষভাগে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের দুই-পঞ্চমাংশ খরচ করে দেশটি। বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিধর রাষ্ট্র।
পৃথিবীর মানচিত্রে আমেরিকার অবস্থান বাংলাদেশের বিপরীতে। কাজেই বাংলাদেশে যখন রাত আমেরিকায় তখন দিন। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভ্রমণ দীর্ঘ ২৪-২৬ ঘণ্টার ব্যাপার। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ৭০ গুণ বড়। আমেরিকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিমানে যেতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টার বেশি। কাজেই এক প্রান্তে যখন বিকাল, অন্য প্রান্তে তখন রাত।
আমেরিকার বর্তমান অবস্থায় আসা যাক। যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৈচিত্র্যমণ্ডিত এবং বহুজাতিক। পৃথিবীর বহু দেশ থেকে বিভিন্ন জাতির মানুষের অভিবাসনের ফলে এটি আজ বহু সংস্কৃতিবাদী দেশ। পৃথিবীর ১০০টির বেশি দেশের মানুষ আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে। এত ভাষাভাষীর দেশ বিশ্বের আর কোথাও একসঙ্গে বসবাস করে না। তাই আমেরিকাকে বলা হয় ‘ল্যান্ড অব ইমিগ্র্যান্ট’।
আমেরিকার মানুষ কাজে বিশ্বাসী। তারা কাজ ছাড়া কিছু বোঝে না। আমাদের মতো পূর্বপুরুষরা উত্তর-পুরুষের জন্য বিষয়সম্পত্তি রেখে যায় না। সেখানে নিজের ভাগ্য নিজেকে গড়ে নিতে হয়। বড় দেশ, শক্তিধর দেশ, ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে সেখানে সুযোগের অভাব নেই। গোটা পৃথিবীর ২৫ শতাংশ কর্মসংস্থান হয় আমেরিকায়। সেই সুযোগগুলো সঠিকভাবে যারা কাজে লাগাতে পারে, তারাই আমেরিকায় টিকতে পারে। নইলে ছিটকে পড়তে হয়। দেশটির মূলমন্ত্রই হলো নো ওয়ার্ক, নো পে, নো ফুড। তুমি কাজ করবে না, ডলার পাবে না, খেতে পাবে না। অলসতার এখানে কোনো স্থান নেই। তুমি কাজ করবে না, বাবা-মা খাওয়াবে কিংবা সন্তানরা সে সুযোগ এখানে নেই। তাই সেখানে যারা যায় তারা দিনরাত ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটে। কয়েক শ মাইল দূরে গিয়ে চাকরি করে। আমাদের মতো অলস বিনোদনের সুযোগ এদের নেই। আঠারো বছর বয়স হলেই এখানে সন্তানরা বাবা-মা থেকে আলাদা হয়ে যায়। তারা নিজেদের মতো করে থাকে। বাবা- মার সঙ্গে দেখা হয় উইকএন্ডে বা কোনো অনুষ্ঠানে। এটা বাবা- মা এবং সন্তানরা স্বাভাবিক মনে করে। এটাই সেখানকার কালচার।
আমেরিকার মোট জনসংখার অর্ধেকের বেশি নারী। সে দেশে নারী-পুরুষের আচার-আচরণে তেমন পার্থক্য নেই। নারীরা প্রকাশ্যে সিগারেট ও মদ পান করে। পুরুষের মতোই কঠিন কঠিন কাজ করে। সে দেশের অধিকাংশ বাসচালক, ট্রেনচালক নারী। পুরুষ-নারীর কাজের বিভাজনে তারা বিশ্বাস করে না। তারা নিজেদের মতোই চলতে চায়। অন্য কোনো দেশের নিয়মনীতি সহজে মানতে চায় না। তাদের ইলেকট্রিক সুইচগুলো ওপরের দিকে চেপে অন করতে হয়। গাড়ি বাম দিকে বসে ড্রাইভ করে। টয়লেটের মেঝেতে পানি সরার কোনো জায়গা নেই। বাড়িগুলো কাঠের। বলতে গেলে আমেরিকা গোটা পৃথিবীটাকে শাসন করছে। তারপরও আমেরিকার একশ্রেণির মানুষ অতৃপ্ত। তারা হতাশাগ্রস্ত। তারা মনে করে, সংসার অসার। তারা পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ না থেকে জীবনকে উপভোগ করার জন্য নিত্যনতুন প্রেম খোঁজে।
১৮ বছর হলেই আমেরিকার ছেলেমেয়েরা ডেটিং করতে পারে। তারা ইচ্ছামতো তাদের বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড নির্বাচন করে তাদের সঙ্গে সময় কাটায়। গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতোই। বিয়ে না করে তারা বছরের পর বছর এমনকি সারা জীবনও কাটাতে পারে, সন্তানও জন্ম দিতে পারে। তাতে আইনত কোনো বাধা নেই। তারা বিয়ের বন্ধনে জড়াতে চায় না। বিয়ে এড়িয়ে তারা যৌনজীবন যাপন করতে চায়। ডিভোর্সকে তারা ভয় পায়। তা ছাড়া বিয়েটাকে তারা অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতা মনে করে। তারপরও যেসব বিয়ে হয়, তার অধিকাংশই ভেঙে যায়। আমেরিকার সমাজে বাছবিচার নীতিবোধ খুব কম। তাই মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মা শয্যাসঙ্গিনী হওয়া, বাবা ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে পটিয়ে বাবার বিছানায় নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে।
রাস্তাঘাটে বা উন্মুক্ত স্থানে তরুণ-তরুণী আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়ে নিবিড় চুম্বন করছে এ দৃশ্য আমেরিকায় অতিসাধারণ। পথচারীরা চেয়েও দেখে না। ডেটিং ও যৌনতা তাদের কাছে ডালভাতের মতো। তবে জোর করে সেক্স করা যায় না। সেক্সের জন্য উভয়ের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করলে রয়েছে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা। সে দেশের মেয়েরা মেয়েদের বা ছেলেরা ছেলেদের অহরহ বিয়ে করে। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। আমেরিকান সোসাইটিতে হোমো সেক্সুয়াল অর্থাৎ ‘লেসবিয়ান’ ও ‘গে’ দিন দিন বাড়ছে। আবার একধরনের নারী বড়লোক হওয়ার জন্য অনেক বেশি বয়স্ক পুরুষকে বিয়ে করছে। যাকে ওরা বলে ‘সুগার ড্যাডি’।
ওদের সমাজে ক্যাসিনো, নাইট ক্লাব, স্ট্রিপটিজ ক্লাব, সেক্স ক্লাব অবারিত। এসবের প্রভাবে ছেলেমেয়েরা দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। হতাশা বাড়ছে, মাদক অপরাধ, খুনখারাবি বাড়ছে। অন্যায়-অবিচার, ষড়যন্ত্র, কিডন্যাপ, সন্ত্রাস, ঘুষ-দুর্নীতি, এমনকি দিনদুপুরে মুখোশ পরে ডাকাতি পর্যন্ত হচ্ছে। টেলিভিশন খুললেই দেখা যায় গার্লফ্রেন্ডকে কেন্দ্র করে খুনখারাবি হচ্ছে। শিক্ষককে গুলি করছে ছাত্র। আমেরিকার কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে গুলি নিত্যকার ঘটনা।
আমেরিকার কিছু অধিবাসীর মধ্যে ধর্মের বালাই নেই। সন্তানরা আলাদা থাকে। ফলে বৃদ্ধ বয়সে তারা একেবারেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। তাই আমেরিকান মানুষের সঙ্গে মানুষের চেয়ে কুকুরই বেশি দেখা যায়। তবে আমেরিকান সমাজের সবকিছুই খারাপ, এটা ঠিক না। তাদের কর্মস্পৃহা মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো। যন্ত্রের মতো কাজ করে তারা। তাদের সমাজে গৃহকর্মী বলে কিছু নেই। ঘরেবাইরে সব কাজ তারা নিজেরাই করে। সে কাজে স্বামী-স্ত্রী সমানভাবে হাত লাগায়। কেউ কারও ওপর ভার চাপায় না। এটা শিক্ষণীয়।
তাদের ব্যবহার ও পরোপকারী মনোভাব প্রশংসনীয়। তারা সব সময় হাসিমুখে কথা বলে। রাস্তাঘাটে দেখা হলে চেনা-অচেনানির্বিশেষে সহাস্যে হাই-হ্যালো বলে। কারও সাহায্য লাগলে হাত বাড়িয়ে দেয়। কেউ হয়তো রাস্তা পার হতে পারছে না, তাকে রাস্তাটা পার করে দেয়। দরজা খুলতে না পারলে দরজা খুলে দেয়। আমাদের মতো না দেখার ভান করে চলে যায় না।
আমেরিকার কিছু লোক ধর্মে বিশ্বাসী না হলেও তাদের মধ্যেও প্রবল ধর্মবিশ্বাসী লোক আছে। তারা নিয়মিত তাদের ধর্মের নিয়মাচার পালন করে। আমেরিকানরা বেড়াতে ভালোবাসে। তারা বিলাসব্যসনে টাকা ব্যয় না করে ছুটি পেলেই বেড়াতে বেরিয়ে যায়। আমেরিকার জনগণ খুবই পরিবেশসচেতন। তারা কখনই রাস্তাঘাটে নোংরা ফেলে না। কফ, থুতু, সর্দি ফেলার তো প্রশ্নই আসে না। বাড়ির চারপাশ ও পরিবেশের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে তারা সজাগ। তারা পশুপাখির প্রতি যত্নশীল। পশুপাখি মেরে খায় না তারা। আমেরিকার রাস্তাঘাটে মাঠে পশুপাখি স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়ায়। মানুষকে তারা ভয় পায় না। বরং মানুষ তাদের দেখলে গাড়ি আস্তে চালায়। আগে তাদের চলাচলের পথ করে দেয়, তারপর নিজেরা যায়।
আমেরিকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। পুলিশ-প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও হয়। সবার জন্য একই আইন, কোনো ভেদাভেদ নেই। আইনের কঠোর শাসনে দেশের প্রেসিডেন্টও রেয়াত পান না। তাই প্রসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল। আমেরিকার জীবনযাত্রার মান উঁচু, সুযোগসুবিধা বেশি। কিন্তু সংগ্রাম আর প্রতিযোগিতাও বেশি। সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যে আমেরিকার অবস্থান বিশ্বের শীর্ষে। তবে আজকের এই আমেরিকা শুধু আমেরিকানদের কষ্টের নির্মাণ নয়। এর পেছনে আছে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব অভিবাসীরই বিন্দু বিন্দু শ্রম, ঘাম ত্যাগ-তিতিক্ষা- এ কথা ভুললে চলবে না। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। তিনি যোগ্য ব্যক্তি। রাজনীতি, গতিশীল নেতৃত্ব ও লেখালেখির জন্য সারা বিশ্বে সুপরিচিত। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের উচ্চশিক্ষা কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, শৃঙ্খলা সুপ্রতিষ্ঠিত হবে, গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে, বিশ্বজুড়ে শান্তি বিরাজ করবে এই প্রত্যাশা করি।
শেষ কথা এটাই, যারা ভাবেন আমেরিকার বাতাসে ডলার ওড়ে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। যারা ভাবেন আমেরিকা মানেই অন্তহীন সুখের ফোয়ারা তারাও বোকা। আমেরিকাকে সুখের ফোয়ারা আপনি তখনই বানাতে পারবেন, যদি আপনি উদয়াস্ত খাটতে পারেন। তার আগে নয়।
লেখক : কথাশিল্পী, গবেষক