বৃহত্তর স্বার্থে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ বাঁচিয়ে রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘নাব্যতা ধরে রাখতে যেমন ড্রেজিং প্রয়োজন তেমনি মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পানি দূষণমুক্ত রাখাও জরুরি। রাঙামাটির এ কাপ্তাই হ্রদ নানামুখি উন্নয়নের সাথে যুক্ত। এ হ্রদের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন। তাই এ হ্রদ বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
আজ সোমবার (১২ মে) বেলা ১১টায় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বিপণি কেন্দ্রের (বিএফডিসি) উদ্যোগে ফিসারিঘাটে আয়োজিত ‘কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার জাহানের সভাপতিত্বে এতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইষ্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন ও রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন ও বিপণি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ৬৬টি প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা গেলে এ মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা ও রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব।
তিনি বলেন, দেশের মিঠাপানির মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত এ কাপ্তাই হ্রদের অবতরণ ঘাটকে খুব শিগগিরই আধুনিকায়ন করা হবে। কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুফল ভোগ করবে এ অঞ্চলের বৃহত্তর মৎস্যজীবী পরিবার। কাপ্তাই হ্রদের নাব্যতা ধরে রাখার পাশাপাশি দূষণমুক্ত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের প্রায় ২৬ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারকে ২০ কেজি করে ভিজিএফের খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়। একই সাথে কাপ্তাই হ্রদে ৬০ মেট্টিক টন পোনা মাছ অবমুক্ত করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ