ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামে পরকীয়ার জেরে চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলায় স্ত্রী রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় ঘোষনা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ।
দন্ডিত রিতা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জয়নাল মন্ডলের মেয়ে এবং তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক কৌশলে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে জসিম উদ্দিনকে চেতনা নাশক ঔধুষ খাইয়ে হত্যা করে। পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিশ মন্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত উল্লেখিত রায় দেন।
রায়ে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদান্ড দেন আদালত। মামলাটি পরিচালনায় ছিলেন বাদীপক্ষে এ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, এ্যাডভোকেট নেকবার হোসেন ও এ্যাডভোকেট রিমা ইয়াসমিন এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও গৌতম কুমার।
রায় ঘোষনার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, আসামীদের মৃত্যুুদন্ডের রায় হলে আরো খুশি হতাম। আমরা অধিকতর শাস্তির জন্য আপিল করব।
বিডি প্রতিদিন/এএম