ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অস্ত্রবিরতির পর উভয়পক্ষই জোরোশোরে নিজেদের সাফল্যের কথা তুলে ধরছে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দেখাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি শুরু হওয়ার মিনিট কয়েক পর ভারতের এক টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল পর্দাজুড়ে ছড়ানো হেডলাইনে দেখাচ্ছিল ‘পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ’। পরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ সন্ত্রাসীদের প্রতি একটি জোরালো বার্তা পাঠিয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের জনতা রাজধানী ইসলামাবাদের রাস্তায় জড়ো হয়ে ‘ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জয়’ উদ্যাপন শুরু করে দেয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তাদের ‘সাহসী সেনাবাহিনীর দর্শনীয় কায়দায় সামরিক ইতিহাস’ অর্জন করেছে বলে দাবি করেন। শরিফ বলেন, ‘মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো ভারতে কামানগুলোকে যেভাবে স্তব্ধ করে দিয়েছে ইতিহাস তা সহজে ভুলবে না।’ পাকিস্তান আকাশে সাফলের ঝলক দেখিয়েছে, আকাশ যুদ্ধে তাদের পাইলটরা ফ্রান্সের তৈরি তিনটি অত্যাধুনিক রাফালসহ পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে। এটি সত্য হলে তা ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য এক যন্ত্রণাদায়ক অপমানের ঘটনা হবে। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এগুলো পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি যেগুলো ভারতের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পঙ্গু হয়ে গেছে। অর্থাৎ ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা তাদের যেভাবে খুশি সেভাবে নাচতে পারেন, কিন্তু এই সংঘাতে পরিষ্কারভাবে কেউ জয়ী হয়নি।