নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বৈঠক শুরু হয়েছে গতকাল। তবে সেই বৈঠক থেকে আপাতত প্রচারের আলো সরে গেছে আরও এক বৈঠকের ওপর। সেখানে সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। সোমবার ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, ‘আমাদের এক সদস্য দেশের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। ইইউর অন্যতম প্রধান কূটনীতিক জোসেপ বরেল বলেছেন, ‘ইইউ ফ্রান্সের পাশে আছে।’
অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণুচালিত সাবমেরিন দেওয়া নিয়ে চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তাতে ফ্রান্স বেজায় চটেছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণুচালিত সাবমেরিন বিক্রি করার কথা ছিল ফ্রান্সের। তারা এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বাসঘাতক বলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা নেতারা এবং কূটনীতিকরা এখন নিউইয়র্কে জতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য গেছেন।
আস্থায় ঘাটতি : সোমবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘তিন দেশের মধ্যে সাবমেরিন চুক্তি আস্থার সংকট তৈরি করেছে।’ বাইডেন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মনে হয়, একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া, অন্যকে না বোঝার নীতি নিয়ে অতীতেও তারা চলেছেন, এখনো চলছেন।’
