বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

তাইওয়ানের আকাশে চীনের দেড়শ যুদ্ধবিমান

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় প্রবেশ করেছে রেকর্ড সংখ্যক চীনা যুদ্ধবিমান। এরপরই বেইজিংকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক কর্মকান্ড’ থামানোর আহ্‌বান জানিয়েছে তাইওয়ান। সোমবার টানা চতুর্থ দিন অনুপ্রবেশ করল চীনা যুদ্ধবিমান। এ নিয়ে সর্বমোট প্রায় দেড়শ’ বিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় পাঠাল চীন। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন তাইওয়ানের ন্যাশনাল ডে ঘিরে অঞ্চলটির প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করতেই এসব যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া প্রদেশ মনে করে বেইজিং। তবে নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র দাবি করে তাইওয়ান। গতকাল ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে লেখা এক নিবন্ধে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তাসাই ইন-ওয়েন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দ্বীপটি যদি চীনের হাতে পড়ে তাহলে এশিয়ার গণতন্ত্র এবং শান্তির জন্য পরিণতি হবে ‘মারাত্মক’। তিনি বলেছেন, তাইওয়ান সংঘাত চায় না, তবে নিজেকে রক্ষায় যা প্রয়োজন তা করতে দ্বিধা করবে না।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ান অভিযোগ করে আসছে তাদের কাছাকাছি এলাকায় বিমান পাঠাচ্ছে চীন। সর্বশেষ ঘটনায় চীনের ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান এবং ১২টি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন এইচ-৬ বোমারু বিমান যুক্ত ছিল।

এ ছাড়া সোমবার রাতের দিকে আরও চারটি চীনা বিমান শনাক্ত করে তাইওয়ান। এ নিয়ে এক দিনেই ৫৬টি চীনা বিমান প্রবেশ করে তাইওয়ানের এলাকায়।

চীনা নীতি তৈরি বিষয়ক তাইওয়ানের শীর্ষ কমিটি মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি) অভিযোগ করেছে বেইজিং তাইওয়ান উপত্যকার শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্থিতাবস্থার মারাত্মক ক্ষতি করছে।

অপরদিকে চীনের অভিযোগ ওয়াশিংটন তাইওয়ানকে উস্কানি দিচ্ছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতায় সমর্থনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতায় যুক্ত হওয়া একটা কানাগলি। তাইওয়ানের স্বাধীনতার যে কোনো ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে নস্যাৎ করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে চীন।’

সর্বশেষ খবর