পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সরকার। গতকাল সরকার থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জোটের হুইপ ইদিত সিলমান। এর ফলে পার্লামেন্ট নেসেটে এখন সরকার ও বিরোধীদের রয়েছে ৬০-৬০টি করে আসন। জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, যদি আর একজনও সরকারের পক্ষ ত্যাগ করে তাহলে বিশেষ আইন প্রয়োগ করে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবে বিরোধীরা। তাহলে এটিই হবে বর্তমান সরকারের ক্ষমতার শেষ। ইস্তফার পর সিলমান জানান, মূলত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিতজান হরোউইতজের সঙ্গে বাদানুবাদের জেরেই তিনি সরকার থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, আমি এ জোটের জন্য অনেক করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলো, আমি আর তাদের সঙ্গে কাজ করে যেতে পারছি না। তার এ সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধী নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বহু মানুষ এ সময়ের জন্য অপেক্ষায় ছিল।
যদিও ক্ষমতাসীন দলের এমপি গিলাদ কারিভের দাবি, বাদানুবাদের কারণে ইস্তফা দেওয়া মোটেও আসল কারণ নয়। সিলমান জোট ছেড়েছে কারণ তাকে বিরোধী লিকুদ পার্টির ১০তম পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি লিকুদ পার্টির হয়ে লড়বেন এবং জিতলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ পাবেন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম মারিভ জানিয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা সিলমানের এ সিদ্ধান্তের কথা আরও এক সপ্তাহ আগে থেকেই জানতেন। এটি তাদের কাছে তাই কোনো সারপ্রাইজ ছিল না।