বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

মন্দির ভেঙে কুতুবে মসজিদ হয়নি

মন্দির ভেঙে কুতুবে মসজিদ হয়নি

বিতর্কের মধ্যেই কুতুব মিনার নিয়ে দিল্লির আদালতে হলফনামা দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সাফ জানিয়ে দেওয়া হলো, ‘সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভে পুজোপাঠ শুরুর অনুমতি দেওয়া যায় না। কারণ যখন থেকে এ স্মৃতিস্তম্ভটি সংরক্ষিত হচ্ছে, সেখানে পুজোপাঠ হতো না। ফলে কোনো সংরক্ষিত এলাকার গঠন বদলানো সম্ভব নয়।’ পুরাতত্ত্ব বিভাগের দাবি, মন্দির ভেঙে কুতুব মিনারে মসজিদ হয়নি। গতকাল দিল্লি আদালতে এ বিষয়ে শুনানি ছিল। আদালত জানিয়েছেন, ৯ জুন পরবর্তী শুনানি হবে। ওইদিনই রায় ঘোষণা করতে পারেন আদালত। সম্প্রতি দিল্লির আদালতে কুতুব মিনার নিয়ে একটি মামলা করেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, ২৭টি মন্দির ভেঙে কুতুব মিনার প্রাঙ্গণে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, এর আগে পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক সাবেক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, কুতুব মিনার কুতুবুদ্দিনের তৈরি নয়, তার বহু আগে রাজা বিক্রমাদিত্য এ স্তম্ভটি তৈরি করেছিলেন। গতকাল আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, যেহেতু সেখানে মন্দির ছিল তাই ওই চত্বরে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক। অন্যদিকে পুরাতত্ত্ব বিভাগ দাবি করে, কুতুব মিনার চত্বরে যে মসজিদ আছে তা মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছে এমন নিদর্শন নেই। তাদের আরও দাবি, ১৯১৪ সাল থেকে কুতুব মিনার একটি সংরক্ষিত সৌধ।

 সেখানে কখনই কোনো ধর্মের মানুষ প্রার্থনার আয়োজন করেনি। সে অবস্থান থেকে সরা যাবে না। ফলে সেখানে পুজো করার দাবির বিরোধী তারা।

অন্যদিকে এদিনই বারানসি আদালতের জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়ে রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালত জানিয়েছেন, ২৬ মে পরবর্তী শুনানি হবে। এদিন তাঁরা রায় দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। আদালত দুই পক্ষের কাছ থেকেই সমীক্ষা রিপোর্টের ওপর মতামত জানতে চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর অন্তর্গত কুতুব মিনার। ইটের তৈরি মিনারের মধ্যে এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম। দৈর্ঘ্য ৭২.৫ মিটার। এখানে রয়েছে ৩৭৯টি ঘোরানো সিঁড়ি। ইতিহাস বলছে, কুতুবুদ্দিন আইবক এ মিনার তৈরি করান।

সর্বশেষ খবর