আফগানিস্তানে জাতিসংঘের জন্য কাজ করা আফগান নারীদের ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। নারী ও মেয়েদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তালেবান নেতাদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা প্রস্তাবটি তোলে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জাপান। তারা এই নিষেধাজ্ঞাকে জাতিসংঘের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’ বলে বর্ণনা করে। জানায়, এটি মানবাধিকার এবং মানবিক নীতিকে ক্ষুণ্ন করে। প্রস্তাবে আফগান সমাজে নারীদের অপরিহার্য ভূমিকার ওপর জোর দেওয়া হয়।
জাতিসংঘে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত লানা নুসিবেহ বলেন, ‘৯০টিরও বেশি দেশ এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। আফগানিস্তানের নিকট প্রতিবেশী, মুসলিম বিশ্ব এবং পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষ আফগান নারীদের পক্ষে আছে। আফগানিস্তানের নারীদের নাম সমাজ থেকে মুছে ফেলার ঘটনায় বিশ্ব চুপ করে বসে থাকবে না।’ জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত রবার্ট উড বলেন, ‘আমরা তালেবানের নারী ও মেয়েদের নিপীড়নের পক্ষে দাঁড়াব না। এই সিদ্ধান্তগুলো অমার্জনীয়। পৃথিবীর আর কোথাও এমন দেখা যায় না। তালেবানের এই আদেশআফগানিস্তানের অপূরণীয় ক্ষতি করছে।’ ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। বিশ্বের কোনো দেশই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। বেশিরভাগ দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা আফগানিস্তানে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে দেশটির অর্ধেক মানুষ খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে।