ভারতে যেখানে একসময় ৫০ মিলিয়ন শকুন ছিল, সেখানে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি এ সংখ্যা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ভারতে তিন প্রজাতির শকুন অর্থাৎ সাদা মাথার শকুন ৯৮, লাল মাথার শকুন ৯১ ও ভারতীয় শকুনের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
আর এর কারণ হলো গবাদি পশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইক্লোফেনাক নামে ব্যথানাশক একটি ওষুধ। সস্তা এ ওষুধটি শকুনের জন্য খুবই মারাত্মক ছিল। যেসব গবাদি পশুকে এ ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল, সেসব পশুর মৃতদেহ খেয়ে বহু শকুনের কিডনি নষ্ট হয়ে যায় এবং এরা মারা যায়। স্টেট অব ইন্ডিয়াসের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে গবাদি পশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর পর থেকে কিছু এলাকায় শকুনের মৃত্যুও কমতে শুরু করে। তবে শকুনের তিনটি প্রজাতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের সংখ্যা ৯১ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
তবে এখানেই শেষ নয়। গবেষকরা বলছেন, শকুন কমে যাওয়ার ফলে মানুষের মৃত্যুর হারও বেড়েছে। মার্কিন ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রকৃতির ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মী’ এসব পাখি কমে যাওয়ায় খুব সহজেই মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটছে। আর এসব ব্যাকটেরিয়ার কারণে পাঁচ বছরে অতিরিক্ত ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গবেষণার সহলেখক ও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোস হ্যারিস স্কুল অব পাবলিক পলিসির সহকারী অধ্যাপক আইয়াল ফ্র্যাঙ্ক বলেছেন, ‘আমাদের পরিবেশ থেকে ব্যাকটেরিয়া ও রোগজীবাণুযুক্ত মৃত প্রাণীগুলো অপসারণে শকুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিবিসি