অবশেষে মুখোমুখি বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিক দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবিসির আয়োজনে আগামীকাল পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে তারা বিতর্কে অংশ নেবেন। উভয়ের মধ্যে প্রথম এবং সম্ভবত শেষ টেলিভিশন বিতর্ক হতে যাচ্ছে এটি।
এর আগে জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে বসেছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু সেই বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে কুপোকাত হন বাইডেন। যার ফলশ্রুতিতে বাইডেনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হয়। পরে ডেমোক্র্যাট দলের কনভেনশনে প্রার্থী হিসেবে তিনি কমলা হ্যারিসকে (বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট) মনোনয়ন দেন। এদিকে নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে (৫৯) নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। বিতর্কের আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্প তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
রুটজার্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশনের এরিন ক্রিস্টি বলেছেন, এ ধরনের বিতর্কে একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনো মুখোমুখি হননি। তিনি বলেন, তাই এ বিতর্ক হবে খুবই আকর্ষণীয় ও সচেতনতামূলক এবং নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণকারী।হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে মঙ্গলবার এ বিতর্কই হতে পারে শেষ বিতর্ক। কারণ এখন পর্যন্ত উভয়ের কেউই নতুন বিতর্কের বিষয়ে সম্মতি দেননি। এদিকে বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কী মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ যুক্তরাষ্ট্রবাসী।
জনমত সমীক্ষার পাশাপাশি তহবিল সংগ্রহেও কমলা এগিয়ে : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী ভোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে একজন প্রার্থী ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ১০২০০ কোটি টাকা) খরচ করতে পারেন। কমলা প্রার্থী হওয়ার পর কে জিতবেন তা নিয়ে অনেক জনমত জরিপ হয়েছে। তাতে প্রায় সব জরিপেই এগিয়ে কমলা। শুধু তাই নয়, সমীক্ষার পরে এবার তহবিল সংগ্রহেও প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে দিলেন কমলা হ্যারিস। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তার যে তহবিল সংগ্রহ হয়েছে তার পরিমাণ মোট ৪০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অপরদিকে ট্রাম্পের তহবিলে ২৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আগামী ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত এ প্রবণতা বজায় থাকলে হোয়াইট হাউসে প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট আসীন হবেন বলে ভোট পন্ডিতদের একাংশের ধারণা।